রবিবার, ১ জুলাই, ২০১২

ইউরোপের উপহার : মুহাম্মদ আসাদ



॥ ড. আবু এন এম ওয়াহিদ ॥

১৯০০ সালের ২ জুলাই তৎকালীন অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির ল’ভোভে (বর্তমানে পোল্যান্ডের অন্তর্গত) এক সম্ভ্রান্ত ইহুদি পরিবারে লিওপল্ড ওয়াইস নামে মুহাম্মদ আসাদের জন্ম হয়। তার পূর্বপুরুষেরা সবাই ধর্মযাজক ছিলেন। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন তার পিতা। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। ধর্ম শিা দিয়েই লেখাপড়ায় আসাদের হাতেখড়ি। অল্প বয়সেই তিনি হিব্র“ এবং অ্যারামাইক ভাষা শিখে তাওরাত, তালমুদ, মিশনা ও গেমারা বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করেন। বাইবেল ও তারগুমেও তার স্বচ্ছন্দ বিচরণ ছিল। আসাদের বয়স যখন ১৪, তখন তার পিতা সপরিবারে ভিয়েনায় চলে যান। ওই সময় আসাদ স্কুল পালিয়ে অস্ট্রিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। পরে অবশ্য তাকে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে যোগদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল, কিন্তু তত দিনে অস্ট্রিয়া সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর আসাদ ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন, ইতিহাস এবং শিল্পকলা বিষয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। ওই সময় ইউরোপের মধ্যে ভিয়েনা ছিল জ্ঞানচর্চা, নতুন ভাবনা-চিন্তার উৎকর্ষের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। আসাদ তার জিজ্ঞাসু মনের ুধা মেটাতে ভ্রমণের উদ্দেশে রওনা দেন মধ্য ইউরোপে। ঘুরতে ঘুরতে ১৯২২ সালের দিকে গিয়ে হাজির হন বার্লিনে। বার্লিনে তিনি প্রথম কোনো এক আমেরিকান নিউজ এজেন্সির অফিসে টেলিফোন অপারেটরের কাজ নেন। তারপর চাকরি পান ইউরোপের বিখ্যাত সংবাদপত্র ‘ফ্রাঙ্কফুর্টার জিটাং’-এর করেস্পন্ডেন্ট হিসেবে। প্রথম দিকে নতুন পেশায় আসাদের অন্যতম নিউজ রিপোর্ট ছিল ম্যাক্সিম গোর্কির স্ত্রীর গোপন বার্লিন মিশনের স্টোরি। তিনি সোভিয়েত রাশিয়ার হয়ে পশ্চিমাদের কাছে সাহায্য সহায়তা চাইতে গিয়েছিলেন বার্লিনে। 
রণশীল ইহুদি পরিবারে জন্ম নিয়ে যথাযথ ধর্মীয় শিার পরও তরুণ আসাদ তত দিনে ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে একজন সংশয়বাদী হয়ে ওঠেন। ওই বিখ্যাত সংবাদপত্রের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ব্যাপকভাবে ফিলিস্তিন, মিসর, ট্রান্সজর্ডান, সিরিয়া, ইরান, ইরাক, আফগানিস্তান ইত্যাদি দেশ সফর করার সুযোগ পান এবং মুক্তমনে সত্য পথের অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে থাকেন। ওই সব দেশে সাধারণ ও শিতি মুসলমানদের সাথে তার ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশার সুযোগ হয়। ফলে মুসলমান এবং ইসলামের প্রতি আসাদের আগ্রহ ও আকর্ষণ বাড়তে থাকে। তখনো তিনি মনে এক 
অন্তঃসারশূন্যতা এবং অপ্রাপ্তির গভীর বেদনা অনুভূত করতে থাকেন। আল্লাহ্ মানুষকে ওহির মাধ্যমে কিভাবে সঠিক পথ দেখাতে পারেন, এ ব্যাপারে তার মন বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে দুলতে থাকে। এ রকম মনের অবস্থায় চাচা ডোরিয়ান ওয়াইসের আমন্ত্রণে আসাদ বেড়াতে যান জেরুসালেমে। সেখানে তিনি চাচার সাথে অনেক দিন কাটান এবং সাধারণ মুসলমানদের অনেক কাছে থেকে দেখার সুযোগ পান। স্বচে দেখে তাদের জীবনযাত্রা হৃদয় দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করেন। আসাদ মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করেন, কিভাবে ইসলাম ফিলিস্তিনি মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। মুসলমানদের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা, তাদের জীবনের ওপর আধ্যাত্মিকতার প্রভাব এবং মানসিক শান্তি আসাদের মনকে বিশেষভাবে আন্দোলিত করে। অতৃপ্ত অনুসন্ধানী মন নিয়ে জেরুসালেম ছেড়ে তিনি ফিরে যান বার্লিনে। 
১৯২৬ সালে আসাদের জীবনে ঘটে এক আশ্চর্যজনক ঘটনা। ৩০ বছর পর তিনি নিজে ঘটনাটির বর্ণনা দেন এভাবেÑ ‘১৯২৬ সালের সেপ্টেম্বর। একদিন আসাদ এবং তার স্ত্রী এল্সা বার্লিনের সাবওয়েতে যাচ্ছেন। বসে আছেন একটি আপার কাস কম্পার্টমেন্টে। হঠাৎ নজর পড়ল উল্টো দিকে বসে থাকা এক সহযাত্রীর দিকে। কাপড়-চোপড় বেশভূষায় খুবই সুসজ্জিত, ফিটফাট। মনে হয় সচ্ছল ব্যবসায়ী। কিন্তু যখন তার মুখের দিকে আসাদের চোখ পড়ে, তখন তিনি লোকটির চেহারায় সুখ-শান্তির কোনো আলামত দেখতে পাননি। কেমন যেন এক অব্যক্ত যন্ত্রণা লোকটির বুকের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে ছায়ার মতো তার চোখমুখকে অন্ধকার করে ঢেকে দিয়েছে। অন্তরের লুকানো বেদনা ফুটে উঠছে চেহারায় আর ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা দৃষ্টিতে। আসাদ আশপাশ তাকিয়ে দেখেন, সবার চোখেমুখে একই বেদনার প্রতিচ্ছবি একে একে ভেসে উঠছে। এই যন্ত্রণার উৎস তাদের হৃদয়ের এতই গভীরে, যেন নিজের অজান্তেই চোখে মুখে বেজে উঠছে তার করুণ সুর। শত চেষ্টা করেও এই বিষাদ কেউই লুকিয়ে রাখতে পারছে না বাহ্যিক চাকচিক্যের অবরণে। এতে আসাদের মনে এমনভাবে দাগ কাটল যে, তিনি ইশারায় এল্সাকে দেখালেন। এল্সার চোখে একই দৃশ্য একইভাবে ধরা পড়ল। আসাদ এল্সাকে নিয়ে বাসায় ফিরে আসেন। দেখতে পান, একখানা কুরআন শরিফ তার পড়ার টেবিলে খোলা পড়ে আছে, যা তিনি আগে থেকে পড়ছিলেন। কুরআন শরিফ হাতে নেন বন্ধ করে তুলে রাখবেন ভেবে। হঠাৎ কুরআনের খোলা পাতায় চোখ পড়ে। পড়েন একটি আয়াত : 
‘তোমরা কবরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত লোভের ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে থাকবেÑ আরো চাও, আরো চাও। অবশ্যই তোমরা যদি জানতে, অধিকন্তু, অবশ্যই তোমরা যদি জানতে, অবশ্যই তোমরা যদি নিশ্চয়তার সাথে জানতে, তোমরা দিব্য চোখে দেখতে পেতে, তোমরা কোন জাহান্নামের মধ্যে আছো। সময় এলে অবশ্যই তোমরা নিশ্চয়তার সাথে জানবে এবং শেষ বিচারের দিন তোমাদের জিজ্ঞেস করা হবে, আরামের জীবনে তোমরা কী করেছ’? (আল্ কুরআন : সূরা-১০২)।
এই আয়াত পড়ামাত্র আসাদ কিছুণের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে যান। তার কাছে মনে হয় যেন কুরআনখানা আপনা থেকেই নড়ে উঠছে তার হাতে। সাথে সাথে এল্সাকে আয়াতটি পড়তে বলেন এবং আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলে ওঠেন, ‘সাবওয়েতে মানুষদের চোখেমুখে যে বিষাদের ছবি আজ দেখেছি, এটা কি তারই উত্তর নয়’? আসাদ মনে মনে ভাবেনÑ ‘মানুষের লোভলালসা, ধনদৌলতের প্রতি আকর্ষণ নতুন কিছু নয়। সবকালে সব যুগেই ছিল। কিন্তু বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে যান্ত্রিক পশ্চিমা সমাজে মানুষের চাওয়াপাওয়ার যে আকুতি, তার সাথে তের শ’ বছর আগের আরব বেদুঈন সমাজের কোনো তুলনা হতে পারে না। আজ পাশ্চাত্য জগতের মানুষ পাগল হয়ে বিরতিহীনভাবে অর্থবিত্তের পেছনে ছুটছে তো ছুটছে। ‘আরো চাই, আরো চাই, খাই, খাই’, ধরনের পেরেশানি সর্বদা মানুষকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। গতকাল যা পেয়েছে, আজ সে তার চেয়ে বেশি চায়। আজ যা আছে, কাল আরো বেশি পেতে চায়। তের শ’ বছর আগে, যত বিচণ আর দূরদৃষ্টিসম্পন্নই হোন না কেন, বেদুঈনদের মাঝে বেড়ে ওঠা কোনো নিরর আরব মনীষীর পে আধুনিক সভ্যতার এই সীমাহীন চাওয়াপাওয়ার হিসাব মেলানো কোনো অবস্থাতেই সম্ভব হতে পারে না। আমি সত্য খুঁজে পেয়েছি। এই আয়াত এবং এই কুরআন নিশ্চয়ই আল্লাহর বাণী’। বার্লিনের মসজিদে গিয়ে আসাদ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মাতা-পিতার দেয়া নাম লিওপোল্ড ওয়াইস ছেড়ে নতুন নাম নেন ‘মুহাম্মদ আসাদ’। তার সাথে এল্সাও ইসলামে দীক্ষা নেন। তিনি হাইনরিক নামে সাত-আট বছরের এক ছেলেসহ এল্সাকে বিয়ে করেছিলেন। পিতার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়। বার্লিনে সাংবাদিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে আসাদ সপরিবারে হজব্রত পালন করতে মক্কার দিকে রওনা হন। 
মুহাম্মদ আসাদ হয়ে গেলেন এক ভিন্ন মানুষ, সম্পূর্ণরূপে এক নতুন পথের পথিক। পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বিবেচনা করে ইসলামকে চলার পথ হিসেবে মনেপ্রাণে গ্রহণ করেন। মক্কায় আসার পর তার জীবনে ঘটল আরেক ঘটনা। মাত্র ৯ দিনের মাথায় অজ্ঞাত রোগে প্রিয়তমা স্ত্রী এল্সাকে হারিয়ে আসাদ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। তবে আল্লাহর ওপর ভরসা হারাননি এবং পবিত্র নগরী মক্কাও ছাড়েননি। তিনি নিয়মিত কা’বার লাইব্রেরিতে পড়তে যেতেন। সেখানে দৈবক্রমে একদিন আসাদের সাথে যুবরাজ ফয়সলের দেখা হলো। ফয়সল আসাদকে নিয়ে যান রাজপ্রাসাদে তার বাবা বাদশাহ আবদুল আজিজ আল্ সাউদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে। প্রথম পরিচয়েই আসাদ নিজের জ্ঞান, দূরদৃষ্টি, বিচণতা এবং অনুসন্ধিৎসু মনের দ্বারা বাদশাহর মন জয় করে ফেলেন। এভাবে রাজপ্রাসাদের দরজা আসাদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়। সেবার আসাদ একটানা ছয় বছর থাকেন মক্কায়। তিনি আরবি ভাষা রপ্ত করেছিলেন। কুরআন-হাদিস অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে আত্মস্থ করার চেষ্টা করেন। বেদুঈনদের সাথে ঘোরাফেরা করে আরব এবং মুসলমান সংস্কৃতির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হন। হিব্র“ এবং অ্যারাশিইক জ্ঞান ও বিভিন্ন সময়ে মুসলমান দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তার এ কাজ অনেক সহজ করে দেয়। 
মুসলমান সমাজ ও সংস্কৃতিকে আরো ভালো করে বোঝার জন্য তিনি আবার ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। ১৯৩২ সালে প্রথম আসেন ভারতে। আসাদের পরিচয় হয় কবি দার্শনিক আল্লামা ইকবালের সাথে। আসাদ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও চীনের পথে যাত্রা শুরু করবেন। কিন্তু ইকবালের পরামর্শে তিনি আর ওদিকে পা বাড়াননি। পাকিস্তান আন্দোলন এবং ভবিষ্যৎ ইসলামি রাষ্ট্র গঠনে ইকবালের সাথে একযোগে কাজ করতে রাজি হয়ে আসাদ ভারতবর্ষেই রয়ে যান। ১৩৩৯ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে। ১৯৩৮ সালে যদিও তিনি জার্মান পাসপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে অস্ট্রিয়ান নাগরিকত্ব রাখতে চেয়েছিলেন, তথাপি ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘শত্র“ নাগরিক’ গণ্য করে বন্দী করে ফেলে। প্রায় ছয় বছর জেল খেটে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ১৯৪৫ সালে মুক্তি পান। ব্রিটিশ বন্দিশিবিরে প্রায় ৩০০০ আটক ইউরোপিয়ানের মধ্যে আসাদই ছিলেন একমাত্র মুসলমান। বাকি সবাই ছিল নাৎসিদের প্রতি সহানুভূতিশীল বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশের নাগরিক।
১৯৪৭ সালের পর আসাদ পাকিস্তানের নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন রাষ্ট্রটির গঠন প্রক্রিয়া ও সংবিধান তৈরির কাজে আত্মনিয়োগ করেন। এ পর্যায়ে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে ইসলামিক রিকনস্ট্রাকশনের পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে মধ্যপ্রাচ্য বিভাগে তার চাকরি স্থানান্তরিত হয়। তারপর ১৯৫২ সালে তিনি জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরে পাকিস্তানের মিনিস্টার প্লেনিপোটেনশিয়ারি নিযুক্ত হলেন। ওই বছরই তিনি চাকরি ছেড়ে তার মাস্টার পিস ‘দ্য রোড টু মেক্কা’ লিখতে শুরু করেন। বইটি প্রথম বের হয় ১৯৫৪ সালে। এই বইয়ের বিষয়বস্তু, লেখার স্টাইল এবং সাহিত্য মান খুবই উন্নত। অনেকের বিবেচনায় এটা নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। ‘দ্য রোড টু মেক্কার’ কাজ শেষ করে আসাদ ১৯৫৫ সালে নিউ ইয়র্ক ত্যাগ করেন। কিছু দিন সুইজারল্যান্ডে থাকার পর মরক্কোতে গিয়ে বসবাস করতে লাগলেন। মরক্কোতে বসে দীর্ঘ ১৮ বছরে তিনি তার আরেক কীর্তি পবিত্র কুরআনের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা ‘দ্য মেসেজ অব দ্য কুরআন’-এর সম্পূর্ণ পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত করেন। এটা প্রকাশিত হয় তার মৃত্যুর অনেক পরে, ২০০৩ সালে। কাউন্সিল অব অ্যামেরিকান ইসলামিক রিলেশনস (কেয়ার) আসাদের ‘দ্য মেসেজ অব দ্য কুরআন’কে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। জিন এবং মে রাজ বিষয়ে আসাদের ব্যাখ্যা ভিন্নধর্মী। শেষ জীবনে মুহাম্মদ আসাদ আশ্রয় নেন স্পেনের ঐতিহাসিক শহর গ্রানাডায়। সেখানে ৯২ বছর বয়সে ১৯৯২ সালের ২৩ ফেব্র“য়ারি তিনি পৃথিবী ছেড়ে অনন্ত যাত্রাপথে লাখো কোটি আত্মার মিছিলে শরিক হন। লেখক : অধ্যাপক, টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি; সম্পাদক জার্নাল অব ডেভেলপিং এরিয়াজ; awahid@tnstate.edu

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন