এবনে গোলাম সামাদ |
|
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল কেন্দ্র হলো নিউ ইয়র্ক শহরের ওয়াল স্ট্রিট।
ওয়াল স্ট্রিট একটি রাস্তার নাম। যে রাস্তার ধারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচার সচেয়ে বড় কেন্দ্র অবস্থিত [New York Stock
Exchange]। ওয়াল স্ট্রিট বলতে কেবল শেয়ার কেনাবেচার কেন্দ্রই বোঝায় না,
বোঝায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি বড় ব্যাংকের কেন্দ্রীয়
কার্যালয়কেও। ওয়াল স্ট্রিট এখন মার্কিন অর্থনীতির প্রতীক হয়ে
দাঁড়িয়েছে। যা নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের
জীবন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে ওয়াল স্ট্রিট দখলের আন্দোলন
[Occupy Wall Street = OWS]। লাখখানেক লোক জড়ো হয়েছে নিউইয়র্ক শহরের
Zuccotti Park--এ। এরা আওয়াজ তুলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির
ব্যবস্থা নিয়ে। বলছে মার্কিন ধনতন্ত্র অচল হয়ে পড়েছে। একে বাতিল করতে
হবে। কিন্তু এরা বলছে না মার্কিন ধনতন্ত্রকে বাতিল করে ঠিক কী ধরনের
অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তারা সেই দেশে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চান। এদের মধ্যে অনেকে
বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি বড় ব্যাংকে টাকা না রাখতে। বড়
ব্যাংকে টাকা না রেখে ছোট ছোট ব্যাংকে টাকা রাখলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
অর্থনীতি নিয়ন্ত্রিত হতে পারবে না বড় ব্যাংক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের
দ্বারা। মানুষ চাচ্ছে ছোট ব্যাংক ও ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। চাচ্ছে অর্থনৈতিক
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ চাচ্ছে আয়-বৈষম্য
কমাতে। চাচ্ছে কর্মসংস্থান বাড়াতে। চাচ্ছে মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে
সুনিশ্চিত করতে।
ওয়াল স্ট্রিট দখল করো আন্দোলন এ দিক থেকে সারা পৃথিবীর আলোচ্য হয়ে উঠেছে। এই আন্দোলনে কোনো নেতা নেই। কোনো দলের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না এই আন্দোলন। এই আন্দোলনকারীরা বলছেন- দেশবাসীর সাধারণ ভাবনার মাধ্যমে আসবে সমাধান। তারা বিশ্বাস করেন, প্রকৃত গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন নেই কোনো রাজনৈতিক দলের। গণতন্ত্রকে হতে হবে সাধারণ মানুষের কাণ্ডজ্ঞানভিত্তিক। রাষ্ট্রকে চলতে হবে সাধারণ মানুষের ইচ্ছায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র হয়ে উঠেছে টাকার গণতন্ত্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি বড় দল পরিচালিত হচ্ছে মার্কিন বড় ব্যাংক ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের টাকায়। তারা কিনে ফেলে এই দুই দলের নেতাদের। তাদের টাকা ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না। মার্কিন গণতন্ত্র শেষ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়ায় গুটিকয়েক ধনকুবেরের গণতন্ত্র। আর এক কথায় এই গণতন্ত্র হলো কুবেরতন্ত্র [Plutocracy]। মার্কিন গণতন্ত্র সম্পর্কে এই অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। কিন্তু কথাটা আবার উঠছে নতুন করে। সমকালীন বিশ্বে আমরা দেখছি মানুষ পথে নামছে, করছে আন্দোলন। হাজার হাজার মানুষ পথে নামছে নিজেদের আপন ইচ্ছায়। কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের ডাকে যে তারা পথে সমবেত হচ্ছে তা নয়। আন্দোলন হচ্ছে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই। সর্বত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় দব্যের মূল্য বাড়ছে। চলে যাচ্ছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। মানুষ পথে নামছে তাদের ক্রয়ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে। অর্থনীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে খুবই জটিল। মানুষ চাচ্ছে, রাষ্ট্র কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করুক। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে হলে প্রয়োজন হয় অর্থের। এই অর্থের জন্য রাষ্ট্রকে করতে হয় কর বৃদ্ধি। রাষ্ট্রের টাকা শেষ পর্যন্ত হলো মানুষের করের টাকা। কর বৃদ্ধি না করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায় না। আর কর বৃদ্ধির বোঝা শেষ পর্যন্ত এসে পড়ে সাধারণ মানুষেরই ওপর। যেটা বহন করা তাদের জন্য হয়ে ওঠে খুবই কষ্টসাধ্য। রাজনৈতিক নেতারা অনেক সময় সরাসরি কর বৃদ্ধি করতে চান না। তারা গ্রহণ করেন ঘাটতি ব্যয়ের পদ্ধতি। ঘাটতি ব্যয় বলতে সাধারণভাবে বোঝায়, নোট ছাপিয়ে রাষ্ট্রের ব্যয় নির্বাহ। শেষ পর্যন্ত যা হয়ে দাঁড়ায় পরোক্ষ কর। যার বোঝা বহন করতে হয় প্রধানত সাধারণ মানুষকেই। তাই আজকের দিনে অর্থনৈতিক সমস্যা হয়ে উঠেছে খুবই জটিল। মানুষ এক সময় বাস করেছে বনে-জঙ্গলে। বাস করেছে বন্য ফলমূল ও জীবজন্তু শিকার করে। আজকের দিনের অর্থনৈতিক সমস্যা তখন ছিল না। প্রত্যেক মানুষকেই করতে হতো তার নিজের কর্মসংস্থান। কিন্তু এখন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি হয়ে উঠেছে রাষ্ট্রের সমস্যা। সেটা সমাধান করতে গিয়ে পৃথিবীর নানা দেশেই রাজনৈতিক নেতাদের পড়তে হচ্ছে যথেষ্ট জটিলতার মধ্যে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন চলছে ব্যবসায় মন্দা। ১০-১২ বছর পর পর মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ব্যবসায় সঙ্কট দেখা দেয়। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। কেন এ রকম সঙ্কট দেখা দেয় তা নিয়ে আছে অনেক মত। একটি মত হলো, ব্যবসায় সঙ্কট দেখা দেয় অতি উৎপাদনের জন্য। মুক্তবাজার অর্থনীতি কোনো পরিকল্পনা অনুসারে চলে না। ফলে দেখা দেয় অতি উৎপাদনে সমস্যা। যেহেতু উৎপাদিত পণ্য বাজারে অবিক্রীত পড়ে থাকে। তাই দেখা দেয়, উৎপাদন বন্ধের প্রয়োজন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সে দেশের কর্মক্ষম জনসমষ্টির ১০ শতাংশ। যা নিকট ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পেতেই পারে। যতগুলো কারণে ওয়াল স্ট্রিট দখলের আন্দোলন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ সময় দানা বাঁধতে পারছে, তার একটা বড় কারণই হলো সে দেশে কর্মসংস্থানের অভাব। ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময় বলেছিলেন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় আনবেন বড় রকমের পরিবর্তন। কিন্তু তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে তিনি সক্ষম হননি। তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন খুবই দুর্বল প্রেসিডেন্ট বলে। তাই তার সময় শুরু হতে পেরেছে ওয়াল স্ট্রিট দখলের আন্দোলন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান দলের নেতারা এ আন্দোলনের করছেন বিশেষ সমালোচনা। তারা বলছেন, এর ফলে মার্কিন ধনতন্ত্র ভেঙে পড়বে। কিন্তু তার জায়গায় আসবে না কোনো উন্নত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। মার্কিন জনগণ এর ফলে পড়বে আরো দারিদ্র্যের মধ্যে। কোনো দারিদ্র্য মোচন সম্ভবপর হয়ে উঠবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, এই আন্দোলনের উদ্দেশ্যকে তারা ভাবছেন না খুব মন্দ বলে। তবে এই আন্দোলন বিশৃঙ্খল হয়ে উঠলে তাকে দমনের জন্য তারা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন। ওয়াল স্ট্রিট দখল করো আগামীতে ঠিক কী রূপ নেবে তা বলা যাচ্ছে না। তাদের এই আন্দোলনকে নানা দেশের মানুষ দিতে শুরু করেছে সমর্থন। আমরা দূর থেকে দেখে এই আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি থেকে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছি না। আমাদের দেশে আগে শেয়ারবাজার বলে কিছু ছিল না। সমপ্রতি শেয়ারবাজার চালু হয়েছে। কিন্তু সেখানে মানুষ অর্থলগ্নি করে হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা চাচ্ছি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধনতন্ত্রের পথে নিয়ে যেতে। কিন্তু বিশ্ব ধনতন্ত্রে এখন শুরু হয়েছে সঙ্কট। বিশ্বে সবচেয়ে বড় ধনতান্ত্রিক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানুষ এখন করতে শুরু করেছে এই ব্যবস্থার সমালোচনা। আমাদের তাই এ ক্ষেত্রে আসছে সচেতন হওয়ার প্রশ্ন। সমপ্রতি চীনের বিখ্যাত সংবাদসংস্থা জিংহুয়া [Xinhua] বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের অর্থনীতিতে সমালোচনা করে, কিন্তু এখন খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে দেখা দিয়েছে গুরুতর প্রশ্ন। অন্য দেশের সমালোচনা না করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে নিজের ঘর সামলানো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট দখল করো আন্দোলন সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রী মিখাইল গর্বাচেভ [Mikhail Gorbachev] বলেছেন, এর ফলে মার্কিন ধনতন্ত্র ভেঙে পড়তেই পারে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার আগ দিয়ে যে ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পড়েছে কিছুটা সে রকম অবস্থারই মধ্যে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ হয়ে উঠেছে অনিশ্চিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ। কিন্তু সে দেশের ১৩ শতাংশ মানুষ এখনো বাস করে দারিদ্র্যসীমার নিচে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ থেকে প্রতি বছর হিসাব করা হয়, একটি কর্মক্ষম মানুষকে উপযুক্তভাবে খেয়ে বাঁচতে হলে তার বছরে কত ডলার আয় করা প্রয়োজন। তারপর এই আয়কে তিন দিয়ে গুণ করা হয়। তিন দিয়ে গুণ করার কারণ হলো, ধরে নেয়া হয়, একজন মানুষের খেয়ে বাঁচতে যা লাগবে, তার তিন গুণ লাগবে বছরে বাড়িভাড়া, বস্ত্র ও চিকিৎসার ব্যয় হিসেবে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসার জন্য ব্যয়কে একত্র যোগ করে ধরা হয় একজন মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম আয় কত হওয়া উচিত তার হিসাব। এই আয়ের নিচে যারা আয় করেন, তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধরা হয় দরিদ্র। দরিদ্রের এই হিসাব সব দেশেই গ্রাহ্য নয়। অনেক দেশে গরিব বলতে বোঝায় যাদের আয়ের ৮০ শতাংশ খরচ হয় কেবল খাদ্য কিনতে গিয়ে। আমাদের দেশে গরিবরা বেশির ভাগই এই পর্যায়ে পড়ে। আমাদের দেশের গরিবদের চেয়ে মার্কিন গরিবেরা আছেন অনেক ভালো অবস্থায়। আমাদের দেশের গরিবেরা মনে করেন দারিদ্র্য তাদের বিধিলিপি। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গরিবেরা দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে হয়ে উঠেছেন সরব। করছেন আন্দোলন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দারিদ্র্য সৃষ্টি হতে পারে কেবল ব্যক্তিগত কারণে নয়, সমাজের ধন বণ্টনের অব্যবস্থার কারণেও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গরিবেরা তাই মনে করছেন, সমাজের ধন বণ্টনব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব। জাতিসঙ্ঘ কোনো একটি দেশের দরিদ্র লোকের সংখ্যা কত, তার হিসাব করে অনেক ভিন্নভাবে। জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে প্রথমে একটি জাতির মোট বার্ষিক আয়ের হিসাব করা হয়। তারপর নির্ণয় করা হয়, এই আয়ের মধ্যমমান Median]। একটি জাতির যেসব লোকের বার্ষিক আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় এই মধ্যমমানের নিচে, তাদের ধরা হয় গরিব হিসেবে। এখনকার হিসাব আমার জানা নেই। ১৯৯০ সালে জাতিসঙ্ঘ ১৬টি উন্নত জাতির বার্ষিক জাতীয় আয়ের মধ্যমমান নির্ণয় করেছিল। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ১৯ শতাংশ লোক পড়েছিল গরিবের দলে। নরওয়ে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের মতো দেশের ক্ষেত্রে গরিব মানুষের সংখ্যা হলো মোট জনসংখ্যার ৫ থেকে ৮ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান এসব দেশের ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান থেকে অনেক বেশি। নরওয়ে, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের মতো দেশ অনুসরণ করে চলেছে বিশেষ ধরনের পরিকল্পনামূলক অর্থনীতি, যা বাড়িয়ে চলেছে এসব দেশের নাগরিকদের ক্রয়ক্ষমতা। দিতে পারছে প্রয়োজনীয় আর্থিক নিরাপত্তা। পৃথিবীর অর্থনীতি আগামীতে কী রকম দাঁড়াবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে সাধারণভাবে মনে করা হচ্ছে এই অর্থনীতি হবে মিশ্র অর্থনীতি। যার ওপর থাকবে প্রত্যেকটি দেশের কিছু না কিছু রাষ্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ। মুক্তবাজার অর্থনীতির যুক্তি আর টিকে থাকবে না। লেখক : প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট [সূত্রঃ নয়া দিগন্ত, ২৪/১০/১১] |
শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
ওয়াল স্ট্রিট দখল করো
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন