ড. আহমদ আনিসুর রহমান
সিরিয়া নিয়ে আমরা সকলেই শংকিত। মুক্তিকামী সাধারণ মানুষকে অস্ত্রবলে দীর্ঘদিন দমিয়ে রাখার পর সেখানকার আলবী-শিয়া গোষ্ঠীগত স্বৈরাচারী সেনাবাহিনীর হাল সময়ের খুনখারাবি আন্তর্জাতিক আইনের সংকীর্ণ সংজ্ঞায়ও গণহত্যার শামিল। এ’ত গেল মানুষ হিসেবে সিরিয়ার মানুষের অবস্থা নিয়ে উত্কণ্ঠা। এটাই বড়। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে সিরিয়ার পরিস্থিতি যে সিরিয়ার বাইরেও মধ্যপ্রাচ্য এবং তার মাধ্যমে বিশ্ব পরিস্থিতির ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে তা’ও এক বড় চিন্তার বিষয়। এই পরিস্থিতি বোঝা প্রয়োজন।
প্রথমেই বুঝতে হবে ‘সিরিয়া’ একটি কৃত্রিম সৃষ্টি। সিরিয়া বলে কোন দেশ-জাতি কখনোই ছিল না। সরলমতি আরবদের ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’-র মত প্রতারক ও বিভিন্ন কূটনৈতিক ভেল্কীর মাধ্যমে প্রতারিত করে সেকালে সারা মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের অভিভাবক-শাসক রক্ষাকবচ রূপ ‘ওসমানীয় খেলাফত’-ব্যবস্থার বিরুদ্ধে উস্কে দেয় ইংরেজ ও ফরাসী ঔপনিবেশিক শক্তিরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে। ‘খেলাফতের অর্থনৈতিক শক্তির ওপর দখল বাগিয়ে নেয়া স্পেন ও হল্যান্ড থেকে আসা বিজাতীয়রা তাদের কলকাঠি নেড়ে খলিফার সরকারকে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিসমূহের নিজেদের ভেতরকার বিশ্ব দখলের বখরার ভাগাভাগি নিয়ে কামড়া-কামড়ির যে যুদ্ধকে তারা পরে ‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধ’ বলে আখ্যায়িত করে-তাতে যোগ দিতে প্ররোচিত করে। এভাবে বাইরে থেকে ইউরোপীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ আর ভেতর থেকে আরব জনগোষ্ঠীর বিদ্রোহের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয় ‘খেলাফত’কে। তার একমাত্র সহায়ক হতে পারতো যে ভারতবর্ষীয় মুসলমান-যারা আঁটঘাট বেঁধে খেলাফত রক্ষায় যুদ্ধে আসতে প্রস্তুত হচ্ছিল, তাদের নিরস্ত্র করা হয় ভারতীয় মুসলমানদের রাজনীতির নিয়ামক শিক্ষাপীঠ দেওবন্দ মাদ্রাসার গুরুজনদের ব্রিটিশ সরকারের আনুকূল্যে বিশাল জমি ইত্যাদি দিয়ে যুদ্ধে খলিফার পক্ষ না নিয়ে নিরপেক্ষ থাকতে রাজি করিয়ে। এমতাবস্থায় খেলাফত ধ্বংস করা হলে আরবদের প্রায়শ্চিত্তরূপেই যেন আজকে যে এলাকাকে সিরিয়া বলা হচ্ছে, তত্সহ প্রায় সমগ্র আরব বিশ্বই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইঙ্গ-ফরাসী দখলদারিত্বে নিপতিত হয়। আরব বিশ্বের উত্তর-পশ্চিমাংশ হলো ঐতিহাসিকভাবেই ‘শাম’ দেশ, উত্তর-পূর্বাংশ ‘ইরাক’। ‘শাম’ দেশকে খণ্ড-বিখণ্ড করে ইংরেজ আর ফরাসীরা নিজেদের ভেতর ভাগ করে নেয়। ‘শাম’-এর উত্তরাংশ নেয় ফরাসীরা-সেখানে নিজেদের ঔপনিবেশিক স্বার্থে সৃষ্টি করে দুই কৃত্রিম ‘রাজ্য’-‘সিরিয়া’ আর ‘লেবানন’। ‘শাম’-এর দক্ষিণাংশ ইংরেজরা দখল করে সেখানে আবার কৃত্রিম দু’ ‘রাজ্য’-‘জর্ডন’ আর ‘ফিলিস্তিন’ তৈরি করে। চারটে কৃত্রিম রাজ্যকেই প্রকৃত প্রস্তাবে স্ব-স্ব উপনিবেশ হিসেবে দখল করে ইংরেজ আর ফরাসীরা।
‘সিরিয়া’ নামে কৃত্রিম রাজ্য সৃষ্টির পেছনে ইউরোপীয় উপনিবেশবাদীদের উদ্দেশ্য আর মানসিকতাটি ঐ নবসৃষ্ট কৃত্রিম রাজ্যটির সিরিয়া নামকরণ থেকেই বোঝা যায়। চাইলে তারা তাকে উত্তর ‘শাম’ বলতে পারতো-উত্তর আয়ার্ল্যান্ড-এর উদাহরণ ত’ ছিলই। না হলে মধ্যপ্রাচ্যের রীতি অনুযায়ী এলাকার প্রধান শহরের নামে পুরো এলাকাটিকেই ‘দামেস্ক’ রাজ্য বলতে পারতো, তা না করে বহু প্রাচীন ইতিহাসের আঁস্তাকুড় থেকে ‘অ্যাসিরিয়া’ শব্দটি বের করে তা থেকে সিরিয়া নামের উদ্ভাবন করে, তা দিয়ে এই খণ্ডিত ‘শাম’-কে নামাঙ্কিত করে। উদ্দেশ্য ছিল বদ। ‘শাম’ নামটির সঙ্গে স্থানীয় জনসাধারণের প্রায় দেড় হাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্য এবং দামেস্ক নামের সঙ্গে ঐ ঐতিহ্য ছাড়াও তারও পূর্বের আরো অর্ধসহস্র বছরের খ্রীস্টান ঐতিহ্যের সম্পর্ক আছে, সে ঐতিহ্যে জাত্যাভিমান, জাতীয় পরিচয় ও অহংবোধ আছে। তাকে ভেঙে ফেলবার, ভুলিয়ে দেয়ার জন্য দু’ হাজার বছরেরও পুরনো খ্রীস্টান-মুসলিম আরব ঐতিহ্যের পূর্বে পৌত্তলিক অসুরীয়দের নাম তুলে এনে উত্তর ‘শাম’-বাসীকে ঐ পরিচয়ে পরিচিত হতে অভ্যস্ত করাবার প্রচেষ্টা হয়। উপনিবেশবাদীরা কৌশলে এই কাজটি পারস্যের সঙ্গেও করে-হিন্দুস্তানের সঙ্গেও। সে প্রসঙ্গে এখন যাব না। খেলাফত ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ শাসক, খলিফা-সুলতান স্বাধীন স্বেচ্ছাচারের অধিকারী ছিলেন না। তাকে তিন মহাদেশের বিশাল এলাকার দোর্দণ্ড প্রতাপশালী শাসক হওয়া সত্ত্বেও কোরআন-কেতাবে বর্ণিত ন্যায়-নীতির বহুবিধ আদেশ-নিষেধের গণ্ডির ভেতর থেকেই শাসনকার্য পরিচালনা করতে হতো। আর এসব নিয়মনীতির সর্বোচ্চ যেই পণ্ডিতকে সরকারিভাবে ‘শায়খুল-ইসলাম’ বলা হতো-সারা বিশ্বের মুসলমানদের ধর্মগুরুরূপ সেই জ্ঞানর্ষির নির্দেশনাধীন থেকেই তাকে এবং সকল প্রজাকে চলতে হতো। খেলাফত ধ্বংস হওয়ার পূর্বে সর্বশেষ যে শায়খুল ইসলাম ছিলেন তিনি ছিলেন ‘শাম’-দেশবাসী, তাই তাকে বলা হতো ‘ইমাম শামী’। রাজনৈতিক ঔপনিবেশিক স্বার্থেই ফরাসীদের তখন এই ‘ইমাম শামী’কেও জনগণের মন থেকে মুছে ফেলবার দরকার ছিল-তার জন্যও ‘শাম’ নামটা মুছে ফেলে ‘সুরিয়া’ (আরবীতে) বা ‘সিরিয়া’ (ফরাসী/ইংরেজিতে) নামটি চালু করা হয়। এই নামকরণটি আপাতদৃষ্টে একটি ছোট বিষয় হলেও গভীরতর রাজনৈতিক মনস্তত্ত্বে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সে সময় ইউরোপে ফ্রয়েড ও য়ুং এই গভীরতর মনস্তত্ত্ব (Depth Psychology) আবিষ্কার করেছিলেন এবং ইউরোপীয় শাসকরা তার গুরুত্ব যথাযথ অনুধাবন করেছিল। এই ধরনের নামকরণের মাধ্যমে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শাসকরা যেভাবে একদিকে দখলকৃত উপনিবেশসমূহের জনসাধারণের অবচেতনার পরিবর্তনে সচেষ্ট হয়, সেভাবেই তা খোদ তাদেরও মন-মানসিকতার পরিচয় দান করে, প্রচ্ছন্নভাবে। এই মনমানসিকতা থেকেই তারা নবসৃষ্ট উপনিবেশ সিরিয়ার শাসন-শোষণে স্থানীয় সংখ্যালঘুকে বিপুলতর সংখ্যাগুরুর ওপর সশস্ত্র বলসহ প্রতিষ্ঠা করে-যার সুদূরপ্রসারী আজকের এই তথাকথিত ‘সিরীয়’ সংকট।
‘সিরিয়া’র বিশালতর সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠী আরব সুন্নি মুসলমান-প্রায় সকলেই হানাফী মজহাব অনুসারী, অধিকাংশই সম্ভবত কাদেরিয়া তরীকাপন্থি। কিছু শাফেরী আর নকশবন্দী আছেন ঐ বৃহত্তর আরব-সুন্নি পরিচয়ধারী বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠের ভেতর। ঐ বিশালতর সংখ্যাগরিষ্ঠের বাইরে খুবই ক্ষুদ্রাকৃতি তিনটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, যারা খেলাফত ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠের অভিভাবকরূপ খলিফার আশ্রিত রূপে নিরাপদ ও সচ্ছল ছিলেন-সেই দেশীয় খ্রীস্টীয় আর আলবী-শিয়াদের এবার ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তি সংখ্যাগুরুর বিরুদ্ধে ব্যবহারের উদ্যোগী হয়। ঔপনিবেশিক ও নব্য ঔপনিবেশিক শক্তি চিরকালেই সবদেশেই এভাবে সংখ্যালঘুকে সংখ্যাগরিষ্ঠের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবার ষড়যন্ত্র করে থাকে।
উত্তর ‘শাম’-এ এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ফরাসীরা একদিকে দেশীয় খ্রীস্টানদের দেশের পশ্চিম উপকূলে এক জায়গায় জড়ো করে তারা ঐ স্থানীয় ক্ষুদ্র এলাকায় ৩০%-এর মত হলেই ঐ এলাকাকে ‘লেবানন’ নাম দিয়ে আলাদা আরেক কৃত্রিম রাজ্য তৈরি করে সেখানে খ্রীস্টান-মুসলিম ক্ষমতা ভাগাভাগির নামে সেখানে সবসময় নিজেদের বশংবদ এক খ্রীস্টান সরকার বা খ্রীস্টান নিয়ন্ত্রিত সরকার বসাবার ব্যবস্থা করে-সিরিয়দের লুটেপুটে খাওয়ার, আর ‘দরকার’ মত সেখানে সৈন্য নামাবার জন্য উপকূলের দখল পাকাপোক্ত করে। ইংরেজরা ঠিক একইভাবে দক্ষিণ ‘শাম’-এর উপকূল দখলের স্থায়ী ব্যবস্থা করে, ফিলিস্তিন ভাগাভাগি করে।
একই সঙ্গে ঐ খ্রীস্টান সংখ্যালঘুদের একাংশ দিয়ে ‘সিরিয়া’র ‘জাতীয়তাবাদী’ ও ‘প্রগতিশীল’ রাজনৈতিক দল—‘বাথ’ পার্টি প্রতিষ্ঠা করিয়ে তাকেই সিরিয়ার জনগণের ‘অধিকার’ আদায় আর অধিকার রক্ষার হর্তাকর্তা সর্বেসর্বা সাজিয়ে বসায়। এটা হলো স্থানীয় জনগণের অধিকার আদায়ে সকল চেষ্টা চরিত্রকে আগে থেকেই ‘টীকা’ দিয়ে ঠেকিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টার মত। ঔপনিবেশিক শক্তিরা তাদের সকল উপনিবেশেই এভাবে সংখ্যালঘুদের সংখ্যাগরিষ্ঠের অধিকার আদায় ও রক্ষার ঠিকাদারী দিয়ে প্রগতিশীল সাজিয়ে সামনে দাঁড় করায়। একই সঙ্গে আলবী-শিয়া যারা সহজেই মুসলমান সেজে বিপুলতর সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি মুসলমানদের সঙ্গে একাকার হয়ে তাদের একজন সেজে যেতে পারবে, তাদের হাতে দিয়ে দেয় প্রকৃত ক্ষমতা—তাদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগের মাধ্যমে। সিরিয়ার সাধারণ জনগোষ্ঠীকে এভাবে ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী আর বিরোধী পক্ষ সাজা ‘প্রগতিশীল’ রাজনৈতিক দল—উভয় থেকে বাইরে রেখে একেবারেই অক্ষম করে ফেলা হয়। আলবী-শিয়ারা হজরত আলীকে আল্লাহর অবতার বিশ্বাস করে এবং এই বিশ্বাসকে অস্বীকারকারী খাঁটি একেশ্বরবাদী মুসলমানদের সঙ্গে শুরু থেকেই কঠোর শত্রুতা পোষণ করে। তাদের বিশ্বাস মতে দুনিয়ার গর-শিয়া তাবত্ মুসলমানই আসলে ‘জিনিক’— মুসলমান সাজা ‘কাফের’ এবং আহলে কেতাব খ্রীস্টানদের সঙ্গে মিলে এই জিন্দিকদের নিধন বা নিদেনপক্ষে দমন ধর্মের বাধ্যতামূলক কার্যের অন্তর্ভুক্ত।
এইরূপ পরিস্থিতিতে ১৯১৯ সনে ফরাসীদের এসে ‘শাম’ কেটে ‘সিরিয়া’ সৃষ্টির পর থেকে প্রায় এক শতাব্দী ধরেই সংখ্যালঘু খ্রীস্টানসৃষ্ট ও নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক আলবী-শিয়া সেনাবাহিনী মিলে সমগ্র বৃহত্তর সুন্নি মুসলমান আরব জনগণকে দমন-নিপীড়নে সর্বস্বান্ত করে পুরো সিরিয়াকে একটি দাসশিবির করে রেখেছিল। মাঝেমধ্যে স্পার্টাকাসের মত কোন কোন সিরীয় মাথা তুলে দাঁড়াবার চেষ্টা করলে তাদের ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ বলে—দরকার মনে হলে তাদের পুরো শহরটিকে বোমাবর্ষণে নিস্তব্ধ করে দেয়া হয়। ঐ অতি ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু শাসক চক্র যখনই উপলক্ষ হয়েছে, তখনই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থের প্রতিপক্ষে বিদেশি ‘আহলে কেতাব’ বা শিয়াদের সঙ্গে প্রকাশ্যে বা গোপনে এক হয়ে কাজ করেছে।
জগতের মুসলমানদের মতই সিরিয়াবাসীদেরও বিশ্বাস, বিশ্বে অত্যাচার-নিপীড়ন যখন চূড়ান্তে পৌঁছবে তখন ত্রাতা হিসেবে হিজজে মদীনা শরীফে ইমাম মাহদী আর শামে দামেস্কে ঈসা-মসীহর আবির্ভাব হবে এবং তাঁদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জগতে আবার ন্যায় ও শান্তির যুগ সূচিত হবে। দামেস্কের মসজিদের মীনারে ঈসা-মসীহ অবতীর্ণ হবেন। যে অত্যাচার-নিপীড়নের চূড়ান্তে আজ ‘সিরিয়া’বাসীর জীবন অসহনীয় হয়ে পড়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ‘সিরিয়া’র-ই রাজধানী দামেস্কের ঐ মসজিদের মীনারের দিকে নজর ফেলে ‘সিরিয়া’বাসী যে এতোদ্বয়ের আবির্ভাবের সময় এসেই পড়েছে মনে করে সাহস করে মরীয়া হয়ে উঠে দাঁড়াবে—তাই স্বাভাবিক। সেইটি হচ্ছে। তাতে যে সংঘাতের উদ্ভব, তাতে দেশি-বিদেশি কোন পক্ষ কী ভূমিকা আসলেই নেবে—তা ওপরের বিশ্লেষণের আলোকেই আন্দাজ করা যাবে।
n লেখক : ঢাকা ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব শিক্ষক, প্রফেসর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাষ্ট্রনীতি এবং
রাজনৈতিক মনস্তত্ত্ব বিশেষজ্ঞ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন