বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১২

অকুপাই ওয়ালষ্ট্রিট-আরব বসন্ত :: পরিবর্তনের পূর্বাভাস


45.jpgওলীউর রহমান ::  বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষ বিশেষ করে মজলুম জনতা দাম্ভিক অহংকারী শক্তির জুলুম অত্যাচার থেকে মুক্তি চায়। যুদ্ধোন্মাদ ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি একের পর এক মুসলিমদেশ ধ্বংস করে চলেছে এবং সে সব দেশে ব্যাপক লুটতরাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এইসব জালেমদের হাত থেকে মুক্তি চায় মজলুম মানবতা।
এ মুক্তির মিছিল শুরু হয়েছে খোদ আমেরিকা এবং ইউরোপ থেকেই অকুপাই আন্দোলনের নামে। পুঁজিবাদী আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ইউরোপ জুড়ে পুঁজিপতিদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের আন্দোলন হলো ‘অকুপাই ওয়ালষ্ট্রিট আন্দোলন’। অকুপাই আন্দোলন হলো ১% পুঁজিপতির বিরুদ্ধে ৯৯% পুঁজিহীন মানুষের আন্দোলন। পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদী ব্যবস্থাপনার বদৌলতে বিশ্বের কেবল একভাগ সুবিধাবাদী মানুষ লাগামহীন ভাবে বিশ্বের ৯৯ ভাগ সম্পদ কুক্ষিগত করে রেখেছে এবং বিশ্বের ৯৯% সাধারণ মানুষের উপর অর্থনৈতিক নীপিড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই এক ভাগ পুঁজিপতি হলো শাসক এবং শোষক শ্রেণী। এটা হলো অকুপাই আন্দোলন কারীদের ধারণা। এ কারণে সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার অকাল মৃত্যুর পর নিজ জন্মভূমিতেই পাশ্চাত্যের গণতান্ত্রিক তথা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার পতনের ডাক উঠেছে। পুঁজিপতিদের অর্থনৈতিক শোষণ এবং পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার চরম ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের জানুয়ারী থেকে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহর থেকে শুরু হয়েছে পুঁজিবাদ বিরোধী অকুপাই আন্দোলন। এপর্যন্ত এআন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা যুক্তরাষ্ট্র সহ ব্রিটেন, ইটালী, অস্টেলিয়া, জার্মানী, স্পেন, আয়ারল্যন্ড, পর্তুগাল ইত্যাদি দেশে। অকুপাই আন্দোলন পুঁজিবাদের পতন ঘন্টা বাজিয়ে তুলেছে। পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থার পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকেগেছে। অকুপাই সহ আরো বেশ কিছু ইস্যু যেকোন সময় যুক্তরাষ্ট্রে টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেদিতে পারে। অর্থনৈতিক মন্দা মুকাবেলায় গত নভেম্বর মাসে গ্রীসের পাপান্দ্রেয় সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। একই পরিণতির সম্মুখীন হয়েছেন ইটালীর প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুস্কুনীর সরকার। চতুর্থ বারেরমত নির্বাচিত হওয়ার মাত্র ২৬ সপ্তাহ পর জনগণের আন্দোলনের মুখে ইটালীর মত একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং গ্রীসের পাপান্দ্রেয় সরকারের পদত্যাগ থেকে ইউরোপজুড়ে পুঁজিবাদের ব্যর্থতা কোন পর্যায়ে রয়েছে তা কিছুটা অনুধাবন করা যায়।

আমেরিকা ও ব্রিটেনে চলছে এখন অর্থনৈতিক সংকট। আর এই সংকট মোকাবেলা করার জন্য নতুন একটি যুদ্ধক্ষেত্রের খুব প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এজন্য হন্য হয়ে খুঁজা হচ্ছে একটি যুদ্ধক্ষেত্র। এক্ষেত্রে ইরান ও পাকিস্থান রয়েছে তালিকার প্রথম পর্যায়ে। অভিজ্ঞ মহলের ধারণা ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যেভাবে অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন অনুরূপ তাদের ধ্বংসাতœক যুদ্ধের খেলাও এক পর্যায়ের পরিসমাপ্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইঙ্গ-মার্কিনীরা আফগানিস্থানে পর্যুদস্তু হয়ে এখন রাশিয়ার মত পরিণতি বরণ করার পর্যায়ে রয়েছে। তালেবান নেতাদের সঙ্গে চলছে এখন আমেরিকার গোপন আলোচনা। ইরানের পারমানবিক কর্মসূচীর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা গায়েপড়ে ইরানের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিল ইরান তার দাতভাঙ্গা জবাব দিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেনি। আমেকিার শ্বাসনালী হরমুজ প্রণালী থেকে ইরান আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ বিদায় করে দিয়ে হরমুজ প্রণালীকে চেপে ধরার হুমকি দিয়েছিলো। চীন ও রাশিয়া কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বয়ং বারাক উবামা ইরানরে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার কাছে চিঠি লিখেন। বারাক উবামা ভালকরে আঁচ করতে পেরেছিলেন যে, ইরানের সাথে যুদ্ধ বাঁধালে তাকে চরম মূল্য দিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির কারণে ইসরাঈল ও এখন বেকায়দায়। সিরিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি ইসরাঈলী নেতাদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। কারণ সিরিয়ার আসাদের বিদায় হলে মুসলিম ব্রাদার হুডের সমমনা কোন দল ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এধরনের কোন দল সিরিয়ার ক্ষমতায় আসলে এটা ইসরাঈলের জন্য অবশ্যই চিন্তার বিষয়। এভাবে ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর ক্ষমতার বলয় সংকুচিত হয়ে আসছে। গ্রীস, ইটালী থেকে পরিবর্তনের যে ধারা শুরু হয়েছে তা হয়ত একসময় ইউরোপ বিপবে রূপ নেবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন পুঁজিবাদের ব্যর্থতা এবং ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী বলয়ের যুদ্ধন্মাদনার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট ইউরোপ জুড়ে গণমানুষের অসন্তুস এবং মধ্যপ্রাচ্যের চলমান পরিস্থিতি বিশ্ব রাজনীতিতে এক গুণগত পরিবর্তন সৃষ্টি করবে। বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্বের ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। আগমন ঘটবে নতুন নেতৃত্বের। ইঙ্গ-মার্কিন যুদ্ধোন্মাদ শক্তির দম্ভচুর্ণ করে শক্তির ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান পরিস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি পরাশক্তি আমেরিকা এবং তার দোসরদের সম্পূর্ণ প্রতিকুলে। মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সাম্রাজ্যবাদীরা রীতিমত শংকিত। ‘আরব বসন্ত’ অর্থ হলো আরবের সুদিন। আরব জনগণের কাছে ‘ইতিফাদাই’ পরিচিত শব্দ। ইনতিফাদা অর্থ গণজাগরণ বা গণ অভ্যূত্থান। তিউনিশিয়া, মিশর, লিবিয়া ও সিরিয়ার গণ অভ্যূত্থানকে ইনতিফাদা বলাই ছিল অধিক সামঞ্জস্য পূর্ণ। আরব বসন্ত শব্দটি পশ্চিমা মিডিয়াই তৈরী করেছিল। কোন কোন দেশে তারা সরাসরি সহযোগিতা ও করেছিল। লিবিয়ায় সরাসরি ন্যাটো বাহিনী সামরিক হস্তক্ষেপ করেছিল। পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের চিরাচরিত নিয়ম হলো যতদিন স্বার্থ উদ্যার করা যাবে ততদিনই তাদের সেবাদাসদের প্রতি সম্পর্ক থাকবে আর স্বার্থ ফুরালে শুধু কেটে পড়বেনা বরং বংশবদদের বুকে বন্দুক তাক করতেও দ্বিধাবোধ করবেনা। পশ্চিমারা মনে করেছিলযে, আরব জনগণ তাদের তাবেদার একনায়কদের তাড়িয়ে পশ্চিমা গনতন্ত্রের দিকেই এগিয়ে আসবে। কিন্তু পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে এখন অন্য রকম। আরব জনতার কাছে পশ্চিমা গনতন্ত্রের চেয়ে ইসলামী খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থাই অধিক পছন্দনীয় এবং পরিচিত। আর একারণে খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করার ভাসনাই তাদের মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে। যা মরক্কো, তিউনিসিয়া, ও মিশরের নির্বাচনে প্রতিফলিত হয়েছে।

আরব বসন্ত বা মধ্যপ্রাচ্যের একনায়কদের বিরুদ্ধে গণবিষ্ফোরণ ইতিহাসের এক চিরাচরিত সত্যকে আবারো বাস্তবে রূপান্তরিত করে দিয়েছে যে, অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে জনতার প্রতিবাদী কন্ঠকে চিরদিন স্তব্দ করে রাখা যায়না, পেশী শক্তি দিয়ে ক্ষমতার মসনদকে চিরদিন ঠিকিয়ে রাখা যায়না, নিজ দেশের মানুষের বিরুদ্ধের যুদ্ধের পরিণতি কখনো ভাল হয়না, শোষণও বঞ্চনার বিরুদ্ধে জালেম অত্যাচারীর লৌহকপাটে লাথি মেরে মজলুম জনতার স্বতঃ ষ্ফুর্ত আন্দোলন কোনদিন খালিহাতে ফিরে না, বিজয়ও সফলতা জালেমের বিরুদ্ধে মজলুম মানুষের ঐক্যদ্ধ আন্দোলনকে স্বাগত জানায়। মধ্যপ্রাচ্যের একনায়কদের জুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনতার রক্তাক্ত আন্দোলন একেরপর এক বিজয় মাল্য ছিনিয়ে আনছে।

তিউনিসিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বেন আলীর পতনের পর ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে রশীদ ঘানুশীর ইসলামী দল আন্নাহদা ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। অথচ সেখানে দীর্ঘদিন যাবত ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল এবং অনেক শীর্ষ নেতা দীর্ঘদিন পর্যন্ত নির্বাসনে ছিলেন। আরব বসন্তের সূচনা হয় তিউনিসিয়া থেকে। পশ্চিমাদের অনেক ষড়যন্ত্র সত্বেও তাদের দালাল মিশরের হোসনে মোবারকও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। তাহরীর স্কোয়ারের রক্তক্ষয়ী আন্দোলন ও গণ অভ্যূত্থানে হোসনে মোবারকের পতন ঘটে। শহীদের রক্ত বৃথা যায়না, শহীদ হাসান আলবান্না, শহীদ আব্দুলকাদীর আওদাহ, যয়নব আলগাজালী, সৈয়িদ কুতুব শহীদের রক্তে সিক্ত মিশরে আবারো জেগে উঠেছে আল ইখওয়ানুল মুসলিমীন তথা মুসলিম ব্রাদার হুড। তাদের রাজনৈতিক শাখা জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি মিশরের প্রথম দফা নির্বাচনে ৩৬.৬% ভোট পেয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করে। সেখানে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অন্য একটি ইসলামী দল আন্নুর। অথচ সেখানেও ইসলামী রাজনীতি কয়েক যুগ যাবৎ নিষিদ্ধ ছিল এবং সেখানে ইসলামী আন্দোলনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে স্বৈর শাসক কর্ণেল নাসের, আনওয়ার সাদাত ও হোসনে মোবারক হত্যা করেছিল।

লিবিয়ার পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। আফ্রিকার লৌহ মানব ৪২ বছরের রাষ্ট্র নায়ক কর্ণেল গাদ্দাফি ছিলেন আমেরিকা সহ পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের পথের কাটা। তাই লিবিয়ার এনটিসি যোদ্ধাদের সাথে সরাসরি ন্যাটো বাহিনী সামরিক অভিযানে অংশ নেয় এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে নির্দয়ভাবে মোয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যা করা হয়। পশ্চিমারা মনেকরে ছিল যে, লিবিয়ায় গাদ্দাফিকে হত্যাকরে তাদের বংশবদ কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু তাদের দূরভিসন্ধি সফল হতে দিচ্ছেনা স্বাধিনতাকামী ইসলামী যোদ্ধারা। ন্যাটো নির্ভর নতুন সরকার ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে যে, ইসলামী শরিয়াহ হবে গণতান্ত্রিক লিবিয়ার আইনের ভিত্তি।

ইয়েমেনের একনায়ক আলী আব্দুলাহ সালেহ ও জনগণের আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা হস্তান্তর চুক্তিতে সই করতে বাধ্য হয়েছেন। সিরিয়ার বাসার আল আসাদের অবস্থাও পতনের দ্বারপ্রান্তে। আরবলীগ সিরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। সিরিয়ায় আসাদের বিদায় হলে সেখানেও ইসলামপন্থী সরকার আসার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। মরক্কোতে একনায়কতন্ত্র বিলূপ্ত হয়ে সেখানকার নির্বাচনে ইসলামী দল জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সরকার গঠন করেছে। এদিকে তুরস্কে সেক্যুলার রাষ্ট্রের বিপরীতে প্রয়াত নাজমুদ্দিন আরবাকানের ইসলামী দল একেপি সরকার গঠন করেছে।

আমেরিকার অকুপাই ওয়ালস্ট্রিট আন্দোলন এবং মধ্যপ্রাচ্যের গণ বিষ্ফোরণের মধ্যে পদ্ধতিগত ভিন্নতা থাকলেও উভয় আন্দোলনের মধ্যে লক্ষ্য উদ্দেশ্যের দিক থেকে অনেক সাযুজ্যতা রয়েছে। উভয়ের উদ্দেশ্য হলো অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি। একারণে অকুপাই আন্দোলন, গ্রীসের পাপান্দ্রেয় সরকার এবং ইটালীর সিলভিও সরকারের বিদায়, আরব বসন্তের বিষ্ফোরণে মধ্যপ্রাচ্যের একনায়কদের করুন পরিনতি, তাহরীর স্কোয়ার, বেনগাজি ও দামেস্কের ঘটনা সমূহ, তিউনিশিয়া, মিশর ও মরক্কোয় ইসলামপন্থীদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন এবং তুরস্কের রাজনৈতিক পরিবর্তন বিশ্বরাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তকে সুস্পষ্ট করে দিয়েছে। আর সেই পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনৈতিক অঙ্গনে উদিয়মান মুসলিম শক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিয়ে আবির্ভূত হবে। একারণে মুসলিম শক্তির অনিবার্য উত্থান এবং উপস্থিতিকে প্রতিহত করার জন্য মার্কিন-ভারত-ইসরাঈলী জোট নানাবিদ ষড়যন্ত্র ও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইসলামী শক্তির সম্ভাব্য উত্থানে চীন ও রাশিয়া আশায় বুক বেধেছে। তারা উদিয়মান ইসলামী শক্তিকে কাছে পেতে চায় আমেরিকার ছড়ি ঘুরানো এবং তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড থেকে পৃথিবীকে মুক্ত করার জন্য। এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গণ-মানুষের ত্যাগ এবং কোরবানী যাতে ব্যর্থ না হয় এবং অর্জিত সফলতা যাতে কেউ নস্যাৎ করেদিতে না পারে এজন্য বিভিন্ন দেশের বিপবোত্তর পরিস্থিতিকে ইসলামী নেতৃবৃন্দ তাদের মেধা দক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দ্বারা সামাল দিতে হবে। বিপবোত্তর ইসলামপন্থী সরকার গুলো তাদের দূরদর্শিতার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সফলতা ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও একটি মজবুত অবস্থান তৈরী করেনিতে হবে। যাতে দেশে দেশে আর মুসলমানদের রক্ত নিয়ে কোন অপশক্তি হোলি খেলা খেলতে না পারে।
- ওলিউর রহমান
লেখক, প্রাবন্ধিক ও গ্রন্থকার, ইসলামপুর, মেজরটিলা, সিলেট।

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন