হাবিবুর রহমান তাফাদার
সভ্য পৃথিবীর মানুষ এ যাবৎ অর্থনীতি-রাজনীতি সম্মিলিত দুটি ভিন্নধর্মী পথপরিক্রমার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়েছে। একটিকে বলা চলে সমাজতান্ত্রিক পথ এবং দ্বিতীয়টি ধনতান্ত্রিক। মাত্র ছ’-দশক সময়কালে সমাজতান্ত্রিক পথটি গণ-মানুষের আকাঙক্ষাকে তুঙ্গস্পর্শী করতে পারলেও, অনেকটা যেন নিজেই নিজের ব্যর্থতা-সীমাবদ্ধতার দিকগুলোকে প্রকট করে তোলে, বছর কুড়ি আগে, মানুষ পথ হারাবার আগেই পথটি নিজেই হারিয়ে গেছে। অনেকে বললেন, দ্বি-কেন্দ্রিক বিশ্বে শামিত্ম-স্বসিত্ম-অগ্রগতির প্রতিযোগিতামূলক ভারসাম্য রক্ষার অপরিহার্য সমীকরণটি না থাকায়, এককেন্দ্রিক বিশ্বে উন্নয়নমুখী ছোট ছোট রাষ্ট্রের তথা দুনিয়ার দরিদ্র মানুষের মুক্তির আর কোনো পথ রইলো না। অন্যরা সগর্বেই বললেন, দারিদ্র্য নিজেই আর টিকে থাকবে না, ঠাঁই হবে তার জাদুঘরে। ভালোমন্দ কতোটুকু কি হয়েছে, সে বিতর্ক নিতামত্মই নিরর্থক, জনেজনে মনেমনে সবই তার জানা আছে সকলের। এবং জানেন তারাও, দৈনিক এক ডলারের কম রোজগারে যেসব পরিবারকে চলতে হয়, খাদ্য-পুষ্টির মাথা-পিছু দৈনিক প্রায় ২২৫০ কিলো-ক্যালরি দু-তৃতীয়াংশের অধিক যারা জোটাতে পারেন না। দুনিয়া-জোড়া দরিদ্র মানুষদের দুঃখের কাঁদুনি শোনার বদলে, আমরা বরং ধনী-দেশের ‘সুখ-সমৃদ্ধ’ মানুষদের দিকে তাকাতে পারি। কেমন আছে তারা, কী ঘটছে সেখানে?
‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’- অর্থাৎ ‘ওয়াল স্ট্রিট দখল কর’-নামের একটি ‘নব-ধারা আন্দোলন’ এখন দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী আর সুখী মানুষদের দেশ বলে পরিচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। অতি-সাম্প্রতিক আন্দোলনটি এখন চলমান এবং অনস্বীকার্যভাবেই দ্রম্নত প্রসারমান। প্রসঙ্গতই আমরা স্মরণ করবো, যুক্তরাজ্যের আপাত দৃশ্যমান একামত্ম স্থিতিশীল ঐতিহ্যবাহী সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিবেশে গত আগস্ট মাসে সংঘটিত ‘লন্ডন-রায়ট’ নামে পরিচিত ঘটনাটির কথাও। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের দুটি ঘটনার প্রকাশভঙ্গি বা বহিরঙ্গে আকাশ-পাতাল ফারাক থাকলেও অমত্মরঙ্গের মিলটুকু বহিরঙ্গের অমিলের চেয়ে গভীরতর সত্য বটে। অন্য কথা বলার আগে প্রসঙ্গতই অন্যতর একটি দিকেও নজর ফেরানো যেতে পারে। তরল-সোনার মধ্য-প্রাচ্যের দেশগুলোতেও গণ-অসমেত্মাষের প্রবল ভূমিকম্প শুরম্ন হয়ে গেছে। এর শেষ কোথায়, কেউ নিশ্চিত করে জানে বলেই মনে হয় না। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-মধ্যপ্রাচ্য মিলিয়ে যে অবস্থা চলছে, তাতে প্রসঙ্গতই একটি বাংলা লোক-বচনের উলেস্নখ করা যেতে পারে, ‘‘শুনতে সোনার-গাঁ, হাত দিলে মাটি’। সবখানেই ‘কিছু মানুষ’ খুব সুখে আছে আর অধিকাংশ মানুষ দুঃখ-ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে নিরমত্মর। রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রবল ভেদ-ভিন্নতা সত্ত্বেও, যে অভিন্ন সত্যটি আর গোপন থাকছে না, তা’ হচ্ছে, সর্বত্রই সুখী আর দুঃখী মানুষেরা অনিবার্য বাসত্মবতার দুটি পৃথক পরিচয়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ আন্দোলনটির কথাই প্রথমে বলা যাক। ‘ওয়াল স্ট্রিট’ কথাটি এখানে বাসত্মব এবং প্রতীকী-উভয়ার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। দুনিয়ার অন্যতম প্রধান ‘ধনী-দেশ’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রভূত সম্পদের কার্যকর মালিকানা প্রকৃতপক্ষেই বড় বড় ব্যাংকগুলোর হাতে, সকলেরই সদর-দপ্তর নিউইয়র্ক শহরের ওয়াল স্ট্রিট এলাকায়। প্রসঙ্গতই স্মরণ করছি, ১৯৯১ইং (সেভিয়েত রাষ্ট্র-ব্যবস্থার পতনের সময়টাতে) একটা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য ওয়াশিংটনের পার্শ্ববর্তী ভার্জিনিয়াতে ছিলাম। তখন একদিন চায়ের টেবিলে আমাদের একজন প্রশিক্ষক কথায় কথায় বলেছিলেন, ‘‘অ্যাপারেন্টলি হোয়াইট হাউস অর ইউ ক্যান সে, ওয়াশিংটন রম্নলস দ্য ওয়ার্ল্ড বাট নিউইয়র্ক ওয়াল স্ট্রিট প্র্যাক্টিক্যালি রম্নলস দ্য হোয়াইট হাউস’। তখন যতোটুকু যা’ বোঝার বুঝেছিলাম, এখন তার কথার গূঢ়ার্থ বুঝতে পারছি বলেই মনে হয়। বাংলার লোকজ ধাঁধাঁ, ‘পৃথিবীটা কার বশ’? উত্তর হিসেবে একথাগুলোকেই পুনর্বিন্যসত্ম করে বলা হয়, ‘পৃথিবী টাকার বশ’। আদৌ মিথ্যে নয়। দুনিয়ার বাসত্মবতার দিকে তাকালেই দেখা যাচ্ছে, সম্পদ থাকা না-থাকাটা বড় কথা নয়, সম্পদের সুষম বণ্টন, অর্থাৎ সম্পদের ওপর জনসাধারণের সুষম অধিকার কায়েম করাটাই বড় বিবেচ্য, এদিকটাকে বাসত্মবসম্মত বিবেচনার বাইরে রেখে ‘‘অন্ধ হলেও প্রলয় বন্ধ হবে না’’।
‘‘যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অসাম্য ও কর্পোরেশনগুলোর অর্থ-লিপ্সার বিরম্নদ্ধে চলমান ওয়াল স্ট্রিট-বিরোধী বিক্ষোভ …দেশের ৭০টি বড় শহর এবং ৬শরও বেশি বসতি এ ভিন্নমতাবলম্বী আন্দোলনে যোগ দিয়েছে।…আমেরিকান পুঁজিবাদের প্রাণকেন্দ্রকেই…সমালোচনার লক্ষ্যস্থল হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে’’। এক্ষেত্রে আন্দোলনকারীদের মূল বক্তব্যটি বিশেষভাবেই উলেস্নখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘‘শতকরা ৪০ ভাগ সম্পদের মালিক একভাগ মার্কিন নাগরিক অর্থনৈতিক সংকটের চাপ বহন করে সাধারণ মানুষ’’ (জনকণ্ঠ, ১০-১০-১১)। এর মাত্র দুদিন আগে প্রেসিডেন্ট ওবামা নিজেই স্বীকার করেছিলেন, ‘‘বিক্ষোভকারীরা আমেরিকান জনসাধারণের হতাশারই বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে’’ (জনকণ্ঠ, ৮-১০-১১)। প্রসঙ্গত আন্দোলনকারীদের মূল বক্তব্যটি সবিশেষ উলেস্নখযোগ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ‘‘শতকরা ৪০ ভাগ সম্পদের মালেক একভাগ মার্কিন নাগরিক অর্থনৈতিক সংকটের চাপ বহন করে সাধারণ মানুষ’’। আন্দোলন সংগঠনকারী শক্তিসমূহের অন্যতম ‘গ্রিন পার্টি’র কর্মী ম্যানস্কি বলেন, ‘‘দরিদ্ররা আর ধৈর্য ধরতে রাজি নয়’’। আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখপাত্র টাইলার কোমবেলিক বলছেন, ‘‘রাজনীতিকদের উচিত আমাদের কথা শোনা’’।
মার্কিন রাজনীতিক এবং অর্থ-প্রশাসকদের মধ্যেও আন্দোলনকারীদের বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রকটভাবেই মতভিন্নতার প্রকাশ ঘটছে। ‘‘ওবামা বিক্ষোভের অনুভূতি উপলব্ধি করলেও…বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে এর অবশ্যই এক শক্তিশালী ও কার্যকর অর্থ-খাত থাকতে হবে’’। প্রশ্ন তো উঠতেই পারে, শক্তিশালী অর্থ-খাত রক্ষা করাটা বড় নাকি বৃহত্তর জনকল্যাণে পুঞ্জীভূত অর্থের সুষম বণ্টন-ব্যবহার করাটা রাজনীতির বড় বিবেচ্য বিষয়? নিউইয়র্কের গভর্নর বুমবার্গ বলছেন, বিক্ষোভকারীরা দেশের অর্থ খাতকেই আক্রমণ করছেন এবং নিউইয়র্ক সিটির শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ বিনষ্ট করার চেষ্টা করছেন’’। আজ না হয় আগামীতে, বুমবার্গকেও হয়তো একটি অনিবার্য প্রশ্নে উত্তর দিতেই হবে, বছর-কয়েক আগে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দা শুরম্নর পর একদিকে বড় বড় ব্যাংক ও কর্পোরেশনগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য কোটি-কোটি ডলার ‘বল-আউট’ সহায়তা দেয়া হয়েছে, অথচ প্রতিষ্ঠানগুলো দরিদ্র শ্রমজীবীদেরকে অব্যাহতভাবেই ছাঁটাই করে চলেছে। সরকার বা পুঁজিপতিদের কারো পক্ষ থেকে এর প্রতিকারের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কি?
ডালাস ফেডারেল রিজার্ভের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ফিসার বলছেন, বিক্ষোভকারীদের প্রতি ‘‘আমি কিছুটা সহানুভূতিশীল,…বহু মানুষের দীর্ঘদিন ধরে কাজ নেই। আমাদের আয়ের বণ্টনে খুবই অসমতা রয়েছে। মানুষজন খুবই হতাশ। আমি তাদের হতাশা অনুভব করতে পারি’’। অপরদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন, চলমান ‘‘প্রতিবাদ আন্দোলনকে ‘পি-পার্টি’র সঙ্গে তুলনা করেন’’। উলেস্নখ্য যে, ডেমোক্রেটিক দলীয় ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে, রিপাবলিকান দলীয় তৃণমূল শক্তির একটি সংগঠিত সংস্করণ হিসেবে ‘টি-পার্টি’র আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। অর্থাৎ বাইডেন বর্তমান আন্দোলনের মর্মার্থ এবং চারিত্র্য অনুধাবনের বদলে, বিষয়টিকে দ্বি-দলীয় মার্কিন রাজনীতির মোড়কে বেঁধে সম্পূর্ণ এড়িয়ে যেতে চাইছেন। বাংলাদেশে অবশ্য আমরা এমন একদেশদর্শী বক্তব্য হামেশাই শুনে থাকি।
‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ আন্দোলনের কিছু পোস্টারের কথা এবং প্রেসিডেন্ট ওবামার বক্তব্য উলেস্নখ করেই আজকের মতো মার্কিন-প্রসঙ্গের ইতি টানছি। প্রতিবাদীরা ‘‘কর্পোরেশনগুলোর অর্থ-লিপ্সা নয়, মানুষের চাহিদা পূরণ কর’’ এবং ‘‘শ্রমিকের বিরম্নদ্ধে লড়াই বন্ধ কর’’ ইত্যাদি লেখা পোস্টার বহন করে। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট ওবামা স্বীকার করেছেন, ‘‘দেশের অর্থ-ব্যবস্থা যেভাবে কাজ করছে, তা’ নিয়ে জনগণের…উদ্বেগ তিনি বুঝতে পারছেন। সবসময়ই নিয়মকানুন মেনে চলেনি এমন অঙ্গ-শিল্পের দৃষ্টামত্ম হিসেবেই ওয়াল স্ট্রিটকে আমেরিকানরা দেখছে।…সবাই যে নিয়মকানুন মানেন না তা’ আমেরিকান জনগণ বুঝতে পারেন।…যারা অর্থসংকট সৃষ্টিতে সহায়তা করেছিল, তারা ক্ষমতার অপব্যবহার রোধের চেষ্টা রম্নখতে চাচ্ছে বলে জনসাধারণ ক্ষুব্ধ’’ । সবমিলিয়ে, আমার মনে একটি প্রশ্ন জেগেছে, পুঁজিবাদী দেশসমূহের প্রধান, মার্কিন-মুলুকের বড় বড় পুঁজিপতিরা কি, রাজনীতির ময়দানে বিষয়টাকে ডেমোক্রেট-রিপাবলিকান দ্বৈরথের দিকে ঠেলে দিয়েই বর্তমান অবস্থার ‘স্ট্যাটাস-কো’ বজায় রাখতে পারবেন?
এবার সদ্য-অতীত ‘লন্ডন-রায়ট’ প্রসঙ্গ। প্রকৃতপক্ষে ‘লন্ডন-রায়ট’ ঘটনাটি ছিল আকস্মিক অবাধ লুটপাটের ঘটনা। লুটপাটকারীদের মধ্যে কালো-সাদা, পুরম্নষ-মহিলা সকলেই ছিল এবং সংখ্যাধিক্য ছিল কালো তরম্নণদের। সরকারের দিক থেকে ‘সোশ্যাল বেনিফিট’ অর্থাৎ ‘সামাজিক উপকার-ভাতা’ বিপুল মাত্রায় কমিয়ে দেয়া হয়েছে, অপরদিকে তরম্নণদের পড়াশোনার ব্যয় বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বার্ষিক ৩,০০০ পাউন্ডের ‘সেশন-ফি’ ১০,০০০ পাউন্ডের ওপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। চাকরি-ছাঁটাই ঘটছে বিপুল মাত্রায়। ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বাড়ছে ‘কর্পোরেট বিজনেস’ প্রতিষ্ঠান। তরম্নণদের সামনে লেখাপড়া চালানোর সুযোগ ভীষণভাবে সংকুচিত, চাকরির সম্ভাবনা ক্রমশ তিরোহিত। এ অবস্থাতেই আচমকা শুরম্ন হয়েছিল লুটপাটের ঘটনাটি।
অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ‘সামাজিক উপকার-ভাতা’র ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো যে, অধিকতর মাত্রায় সংকটের মুখে পড়েছে, এটা সহজেই বোধগম্য। এমন পরিবারগুলোর মধ্যে যে কালোদের সংখ্যা সমধিক এ-সত্যও কারো অজানা নয়। অথচ কারণ-ঘটনা-ফলাফল বিশেস্নষণ করতে গিয়ে কেউ বললেন পিতৃ-অভিভাকত্বহীন ভগ্ন-পরিবারের কথা, ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাবের কথা, এমনকি ‘মেটাল-রক মিউজিক’-এর উচ্ছৃঙ্খল প্রভাবের কথাও। কিন্তু ভবিষ্যতের স্বপ্নহীন, কর্মহীন তরম্নণদের পরিবারগুলোর আর্থ-সামাজিক প্রকট অবক্ষয়ের কথা যেন অনেকেরই নজর-মনোযোগ এড়িয়ে গেছে। শুনেছি, মার্কিন-সম্পদের অসম বণ্টনের চেয়েও তীব্রতর সংকটপূর্ণ যুক্তরাজ্যের অবস্থা। দেশটির সম্পদের সিংহভাগ, কেউ কেউ বলেছেন অর্ধেকের বেশি পুঞ্জীভূত হয়েছে, হাতেগোনা কয়েকটি কর্পোরেট-পরিবারের দখলে। অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য এবং সামাজিক শামিত্মপ্রিয়তার ঐতিহ্যের কারণে যুক্তরাজ্য সরকার তিন-চারদিনের মধ্যেই সংকট সামাল দিতে পেরেছে। কিন্তু এটা একান্তই সাময়িক সাফল্য। আজ এ পর্যন্তই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন