সোমবার, ৭ মে, ২০১২

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক



তা রে ক  শা ম সু র  রে হ মা ন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব ও সাবেক ফার্স্টলেডি হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফর ও বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়াশিংটনের যৌথ অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর এটা স্পষ্ট করেই বলা যায়, এই দেশ দুটির মাঝে সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছল। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই চুক্তিটি করা হয়েছে বলা হলেও, চুক্তিটি আদৌ কোনো তৃতীয় দেশ, বিশেষ করে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে কি না, সেটা একটা বড় প্রশ্ন এখন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র অনেক দেশের সঙ্গেই এ ধরনের চুক্তি করে। গেল সপ্তাহে হঠাত্ করেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা কাবুলে গিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি এ ধরনের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। তবে এ ধরনের একটি চুক্তি বাংলাদেশকে মার্কিন প্রভাববলয়ে নিয়ে যাবে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সঙ্গে এ ধরনের একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত অক্ষে নিয়ে যাবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির আলোকে বাংলাদেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ না-হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা গুরুত্ব দেয়। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতকেন্দ্রিক যুক্তরাষ্ট্রের যে নীতি, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়া তথা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তার উপস্থিতি বাড়াতে চায়। যেহেতু এ অঞ্চলে ভারত একটি শক্তি, সেহেতু ভারতকে সঙ্গে নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে তার প্রভাব বৃদ্ধি করছে। বাংলাদেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণে মার্কিন নীতিনির্ধারক, বিশেষ করে সামরিক নীতিনির্ধারকদের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অতিসম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ কৌশলগত সম্পর্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় মার্কিন নীতিনির্ধারকদের আগ্রহটা আরও বেড়েছে। সে কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ-ভারত-যুক্তরাষ্ট্র একটি অক্ষ গড়ে উঠেছে। একদিকে ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে সকল মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ফলে সেখানে যে ‘শূন্যতার’ সৃষ্টি হবে, মার্কিন নীতিনির্ধারকরা মনে করেন সেই ‘শূন্যতা’ পূরণ হতে পারে ভারতকে দিয়ে, যা চূড়ান্ত বিচারে তার স্বার্থকে রক্ষা করবে। লক্ষ করলে দেখা যাবে আফগানিস্তানে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে ভারত, যার পরিমাণ কয়েক বিলিয়ন ডলার। ভারত সেখানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করছে। প্রচুর হাইওয়ে তৈরি করছে ভারত। এখানে সীমান্তবর্তী পাকিস্তান বরারবই উপেক্ষিত থেকেছে। আর ভারতের এই বিনিয়োগ সম্ভব হয়েছে মার্কিন নীতিনির্ধারকের সম্মতি দেওয়ার পরই। ধারণা করছি, ২০১৪ সালে মার্কিন বাহিনী সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হলে ভারতের তথাকথিত একটি ‘শান্তিরক্ষী’ বাহিনী সেখানে অবস্থান নেবে। অথবা ন্যাটোর একটি এশীয় সংস্করণ দেখতে পারি আমরা ওই সময়, যেখানে ভারতের একটি অংশগ্রহণ থাকবে। ১৯৪৯ সালে ন্যাটো যখন গঠিত হয়েছিল, তার প্রথম এবং একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল এই বাহিনী শুধু ইউরোপেই নিয়োজিত থাকবে। ন্যাটোর উদ্দেশ্য ছিল সম্ভাব্য সোভিয়েত আগ্রাসন থেকে ‘ইউরোপের গণতন্ত্র’কে রক্ষা করা। ন্যাটোর সেই ধ্যান-ধারণায় পরিবর্তন এসেছে। প্রথমবারের মতো আফগান যুদ্ধে ন্যাটো বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যেহেতু ন্যাটোর ইউরোপীয় মিত্ররা আর আফগানিস্তানে ‘ঝুঁকি’ নিতে চাচ্ছে না, সেহেতু এ অঞ্চলকে ঘিরে ন্যাটোর এশীয় সংস্করণ (সেটা ভিন্ন নামেও হতে পারে) হবে এবং ভারত তাতে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে। এই ‘প্রক্রিয়া’য় বাংলাদেশও জড়িত হবে। মার্কিন নীতিনির্ধারকদের সুবিধা এখানেই যে বাংলাদেশ সরকার ‘ভারতের এই ভূমিকা’কে যা যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, সমর্থন করছে। সূক্ষ্মভাবে লক্ষ করলে আরও দেখা যাবে, অতিসম্প্রতি ভারত পারমাণবিক অস্ত্র বহনযোগ্য যে মিসাইল ক্ষেপণাস্ত্র (অগ্নি-৫) সাফল্যের সঙ্গে উেক্ষপণ করেছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নীতির ব্যাপারে যে নীতি গ্রহণ করেছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র নীতির ব্যাপারে তার সেই নীতি পরস্পরবিরোধী। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র যেখানে তার মিত্র দেশগুলোকে ব্যবহার করছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বিরুদ্ধে এই কাজটি করছে না। বরং ভারতকে সব ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা করেছে, এই কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যেতে। অনেকেরই স্মরণ থাকার কথা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের যে পারমাণবিক চুক্তি রয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে অত্যাধুনিক পারমাণবিক প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটাই-আর তা হচ্ছে চীনের বিরুদ্ধে ভারতকে একটি শক্তি হিসেবে দাঁড় করানো। নানা কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। বেশ ক’টি ইস্যুতে দেশ দুটির মধ্যে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। বাংলাদেশ সফর করার আগে হিলারি ক্লিনটন বেইজিংও সফর করেছেন। সেখানে চীনা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার আলোচনা সফল হয়নি। চীনের সমরসজ্জা বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চিন্তার একটি কারণ। চীন যাতে শক্তিশালী হয়ে উঠতে না পারে সেজন্য ভারতকে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা।
চীন ইতোমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া তথা ভারত মহাসাগরে অন্যতম নৌশক্তিরূপে আবির্ভূত হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে আঘাত করছে। এটাকে বিবেচনায় নিয়েই গড়ে উঠছে ভারত যুক্তরাষ্ট্র অক্ষ, যে অক্ষে বাংলাদেশও একটি অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের এই স্ট্র্যাটেজি বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকে গড়ে ওঠা ‘ঈড়হঃধরহঃসবহঃ ঞযবড়ত্ু’র কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে ঘিরে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এই নীতি অবলম্বন করেছিল। এ কারণে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন। বাংলাদেশের সীমান্তে রয়েছে মিয়ানমার, যে দেশটির সঙ্গে চীনের কৌশলগত সামরিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। চীনের সীমান্তবর্তী দেশ হচ্ছে মিয়ানমার। মিয়ানমারে গণতন্ত্রের হাওয়া বইছে। সু চি এখন সংসদ সদস্য। অনেক পশ্চিমা দেশ এখন মিয়ানমারের ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। জেনারেল সেইন এখন তার সরকারকে একটি ‘বেসামরিক অবয়ব’ দিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র চাইবে বাংলাদেশ ও ভারতকে সঙ্গে নিয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে। এমনকি ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতিসম্প্রতি, বিশেষ করে গেল ফেব্রুয়ারি থেকে গত ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বাংলাদেশ সফর করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে এসেছিলেন মারিয়া ওটেরো (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি,  গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয় সম্পর্কিত ডেস্ক), রবার্ট ও’ব্লেক (সহকারী পররাষ্ট্র সচিব, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ডেস্ক), ভেন্ডি শেরম্যান (আন্ডার সেক্রেটারি, রাজনৈতিক বিষয়াদি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)। গত ১৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে নিরাপত্তা শীর্ষক একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেন সহকারী পররাষ্ট্র সচিব (রাজনৈতিক বিষয়াদি) আন্দ্রে শাপিরো। অত্যন্ত গোপনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিংবা কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা সংবাদপত্রে জানানো হয়নি। নিরাপত্তা বিষয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দু’দেশ আলোচনা করল কিন্তু জাতি তা জানল না। গোপনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত গোপনই রাখা হল। এ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের কোনো মন্তব্যও আমার চোখে পড়েনি। তবে বাংলাদেশে মার্কিন সেনা মোতায়েনের একটি সম্ভাবনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। অনেকেরই মনে থাকার কথা গত ২ মার্চ সিনেটের এক অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক ফ্লিটের (বাংলাদেশ এর অন্তর্ভুক্ত) কমান্ডার অ্যাডমিরাল রবার্ট উইলার্ড বলেছিলেন বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশেষ বাহিনী’ মোতায়েন রয়েছে। এটি নিয়ে বাংলাদেশে গুজবের সৃষ্টি হলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মজিনা এর একটি ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন কিছু সেনা রয়েছে, যারা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে প্রশিক্ষণের জন্য আসে, আবার চলেও যায়। পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা ‘তথাকথিত সন্ত্রাসীদের মোকাবেলার’ জন্য (?) ভিন্ন নামে ও ভিন্ন পরিচয়ে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর লোকজন বাংলাদেশে রয়েছে। এর একটা আইনি কাঠামো দেওয়ার জন্যই ওই নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সরকারিভাবে যুক্তরাষ্ট্র এখনও স্বীকার করে না যে বাংলাদেশে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য রয়েছে। তবে ভারত তা মনে করে। এ কারণেই ভারতের পক্ষ থেকে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সামরিক জোট গঠনের সম্ভাবনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ‘সন্ত্রাসীদের’ কথা বলা হলেও মূল টার্গেট মূলত চীন। চীনকে  পেছনে ফেলা। তবে হিলারি ক্লিনটনের সফরের সময় এ বিষয়টি আলোচিত হয়নি। বাংলাদেশে মার্কিন আইওসির (তেল ও গ্যাস সংস্থা) যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। শেভরনের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার। শেভরন বর্তমানে জালালাবাদ, মৌলভীবাজার ও বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডে কাজ করছে। বাংলাদেশে উত্পাদিত গ্যাসের শতকরা ৫০ ভাগ শেভরন একাই উত্পাদন করে। বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডে তাদের কর্মকাণ্ডে স্থানীয় জনগণ অসন্তুষ্ট। সেখানে বিক্ষোভ হয়েছে। এখন কনোকো ফিলিপ চাইছে গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন করতে। হিলারি ক্লিনটন পরোক্ষভাবে এটা নিয়েও তদবির করেছেন। বহুল  আলোচিত ও বিতর্কিত ‘টিফা’ চুক্তি নিয়েও কথা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ টিফা নয়, বরং টিআইসিএফ বা ‘ট্রেড অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন ফোরাম’ নামে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে। তবে মন্ত্রিসভায় এখনও তা উত্থাপিত হয়নি। যে নামেই চুক্তিটি হোক, তাতে বাংলাদেশের লাভের সম্ভাবনা কম। এ ধরনের চুক্তি হলে বাংলাদেশ কোনো পাইরেটেড পণ্য বাজারজাত করতে পারবে না। ওষুধ শিল্পও হুমকির মুখে পড়বে। মিসেস ক্লিনটনের সফরের সময় টিআইসিএফ চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে। বাংলাদেশে ‘গুম’জনিত পরিস্থিতি নিয়ে হিলারি ক্লিনটন মন্তব্য করেছেন, যা বেশ গুরুত্বের দাবি রাখে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘গুম’-এর বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। হিলারি ক্লিনটনের এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কতটুকু উপকৃত হবে বলা মুশকিল। তবে বাংলাদেশে যে মার্কিনি প্রভাব বাড়বে, তা বলার  অপেক্ষা রাখে না। এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাবলয়ে বাংলাদেশের সম্ভাব্য অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হবে, তা শুধু আগামী দিনগুলোই বলতে পারবে।
লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
tsrahmanbd(a)gmail.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন