সোমবার, ২৮ মে, ২০১২

ন্যাটোর রূপান্তর প্রয়োজন



 ড. আহমদ আনিসুর রহমান 
ন্যাটো (N.A.T.O.)-এর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হচ্ছে। আর দুরু দুরু বুক কাঁপছে অনেকেরই—না জানি ন্যাটো এবার আবার কোথায় এ্যাকশন নেয়। কিভাবে কোথায়। কি পর্যায়ের। এ ভয় শুধু যারা ন্যাটো এ্যাকশনের মুখোমুখি পড়বে যেসব সমাজ সেখানকার লোকদেরই নয়—খোদ ন্যাটো সদস্য দেশের লোকদেরও। তাদের সন্তানেরা কোথায় কিভাবে ন্যাটো এ্যাকশনে প্রেরিত হতে পারে—যুদ্ধে বুঝতে তাদের করের টাকা কোথায় কোন বিদেশি যুদ্ধের আগুনে নিক্ষিপ্ত হয়। আবার ন্যাটো এ্যাকশনের মাধ্যমে কোথায় কোনখানে কোন অঘটনঘটন পটীয়সীদের দমন করে দীঘমেয়াদি শান্তির রক্ষা হয়। সেদিকেও খেয়াল অনেকের। আর ন্যাটো এ্যাকশনে প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও রসদ সরবরাহে মুনাফার আশা নিয়েও হিসেব-কেতাব অস্ত্র ও রসদ ব্যবসায়ীদের। এ্যাকশনের ক্ষেত্রভূমি ঘিরেও তেল থেকে তুলা—বহুরকম ব্যবসায়ের সম্ভাবনার হিসাব আবার অন্যদের। এ্যাকশন বলে কথা—ন্যাটোর এ্যাকশন।
এই ন্যাটোকে নিয়েই—N.A.T.O., No Action Talk only বলে রসিকতা করা হতো। আজকে ন্যাটোর এ্যাকশন-এর পর এ্যাকশন— আফগানিস্তান থেকে লিবিয়া পর্যন্ত। তার মুখে ন্যাটো নিয়ে ওমন রসিকতার সুযোগ আর নেই। এটা কি ন্যাটোর অলসতা ঝেড়ে ফেলে অবশেষে কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠার লক্ষণ? বাস্তবে না। বাস্তব হলো, এটা ন্যাটোর চরিত্রের মৌলিক পরিবর্তনের খবর। ন্যাটো তার মূল চরিত্র বদলে এখন পুরনো বোতলে নতুন মদসম—এই মদের মদিরা আলাদা, মাতলামোও ভিন্ন।
চরিত্রগতভাবে ন্যাটোর মূলত মৌলিকভাবেই No Action Talk only হবার কথা ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিছুটা পরেই ন্যাটো উত্তর অ্যাটলান্টিক মহাসমুদ্রের দুপাশের মিত্র শক্তিসমূহের, মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর পশ্চিম ইউরোপের মিত্রশক্তিসমূহের আঁতাত হিসেবে সৃষ্ট হয়। যুদ্ধ করতে নয়—যুদ্ধের প্রতিষেধক হিসেবে। যুদ্ধের যে বিভীষিকা থেকে পশ্চিম ইউরোপকে মিত্রবাহিনীর চার বছরের প্রতিরক্ষামূলক প্রতিযুদ্ধ বের করে আনে, সেই বিভীষিকায় যাতে পশ্চিম ইউরোপকে আবার পড়তে না হয় তার ব্যবস্থা হিসেবে। জার্মানীর নাত্সী সরকার কর্তৃক সূচিত সেই ভয়াবহ যুদ্ধকে ঠেকাতে পশ্চিম ইউরোপের দরকার হয়েছিল পশ্চিমে অ্যাটলান্টিক পারের যুক্তরাষ্ট্র, পূর্বে জার্মানীর পূর্বপ্রান্তের বিজয়াভিযান ঠেকানো সোভিয়েট ইউনিয়ন, আর ভারতবর্ষ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য আর চীনের ঔপনিবেশিক আর আধা ঔপনিবেশিক শাসনাধীন সেইসব জনগণের যাদের পক্ষে পশ্চিম ইউরোপীয়দের প্রতিপক্ষে জার্মানী-জাপানের অক্ষশক্তির পক্ষে যাওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। নানা কূটনৈতিক-রাজনৈতিক লেনা-দেনার প্রতিজ্ঞা-প্রতিশ্রুতির কেনা-বেচার মাধ্যমে ভারতবর্ষ, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আর চীনের জনগণের রাজনৈতিক সাহায্য আদায় করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েট ইউনিয়নের সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে পশ্চিম ইউরোপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মরক্ষা করে। এশিয়ার জাপানের সমর্থনপুষ্ট মধ্য ইউরোপীয় জার্মানীর বিজয়মূলক যুদ্ধাভিযানের ধ্বংসলীলা থেকে। কিন্তু ঐ যুদ্ধ শেষ হবার আগেই দেখা দেয় আরো দুই যুদ্ধের লক্ষণ—সোভিয়েট ইউনিয়ন আর চীনের কম্যুনিস্ট আর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ঔপনিবেশিক শাসনাধীন জাতিসমূহের পরস্পর সহায়ক পশ্চিম ইউরোপ-বিরোধী নতুনতর আরেক যুদ্ধের। সোভিয়েট ইউনিয়নের সরাসরি যুদ্ধ আর এশীয় জনগণের ‘গণযুদ্ধের’ মুখে পশ্চিম ইউরোপের টিকে থাকবার একমাত্র আশা-ভরসা হিসেবে দেখা দেয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সাগরপারের হওয়ার কারণেই অনেকটা প্রায় অক্ষত থেকে যাওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। উপনিবেশসমূহ ছুটে গেলে পশ্চিম ইউরোপের বৃটেন ফ্রান্সের মতো পুচকে পুচকে রাজ্যের ইতিমধ্যেই বিধ্বস্ত অর্থনীতিতে মার্কিন আর্থিক সাহায্য আর তাদের খেয়ে ফেলবার জন্য হা করে তেড়ে আসা বিশাল সোভিয়েট সামরিক শক্তির বিপক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবতারুণ্যমণ্ডিত, আণবিক বোমা সমন্বিত সমরশক্তি—এ দুই ছিল দৃশ্যমান ভরসা। ঐ ভরসার ওপর ভর করে ডুবন্ত পশ্চিম ইউরোপ হাত বাড়ায় অ্যাটলান্টিক পারের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়বার হুমকি দেয়া যে সোভিয়েট সমর্থিত যুদ্ধবাজ কম্যুনিজম—যার সমর্থন খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরকার শ্রমিক শ্রেণী আর কৃষ্ণাঙ্গ সংখ্যালঘুর ভেতরও মনে হচ্ছিল—তাকে স্বোপকূলে সজোরে পৌঁছবার পূর্বেই প্রতিরোধের প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রও অনুভব করে। দু’পক্ষেরই এই কম্যুনিজম পরিচালিত বিস্তৃততর বিশ্বযুদ্ধ ঠেকানোর কাজে সাক্ষাত্ স্বার্থ দু’পক্ষকে একত্র করে উত্তর অ্যাটলান্টিক চুক্তি সংঘ (N.A.T.O.) প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী করে। ঐ সংঘের উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ করা নয়—যুদ্ধ ঠেকানো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতিতে সামরিক মৈত্রী চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ন্যাটোর মতো একটি সামরিক রাজ্যসংঘের পক্ষে যুদ্ধ না করে যুদ্ধ ঠেকানো সম্ভব ছিল। যুদ্ধ নয়— যুদ্ধের প্রতিপক্ষে যুদ্ধ থেকেও ভয়ংকর পরিণতি প্রদানের ইচ্ছাশক্তির প্রকাশের মাধ্যমে ‘ডিটারেন্স’ দিয়ে। উচ্চতর আণবিক যুদ্ধাস্ত্রের মালিকানার মাধ্যমে ঐ পরিণতি প্রদানের ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের তখন ছিল। ন্যাটো প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল সোভিয়েত্ ইউনিয়নকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিত্রতার মাধ্যমে যে কোন অগ্রযাত্রামূলক যুদ্ধের প্রতিপক্ষে ঐরূপ পরিণতির দৃশ্যমান হুমকি দিয়ে রাখা, মাত্র কয়েকদিন পূর্বে জাপানে আণবিক বোমা দিয়ে যে ধ্বংসলীলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংঘটন করে দেখিয়েছিল তা সোভিয়েত শাসক ও জনগণের ভুলে যাবার কথা ছিল না। ঐ দৃশ্যমান হুমকিতে কাজ হয়েছিল।   সোভিয়েত কম্যুনিস্ট বাহিনীর অগ্রযাত্রা মধ্য ইউরোপ পর্যন্ত এসেই থমকে দাঁড়িয়েছিল। এভাবে কম্যুনিজমের সমরশক্তিকে ঠেকিয়ে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল অর্থসাহায্যে পশ্চিম ইউরোপের যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে আবার এমনকি পূর্বের চেয়েও বেশি চাঙ্গা করে তুলে যেখানে কম্যুনিজমের গরীবীর মাধ্যমে অগ্রযাত্রার রাজনৈতিক পথও রুদ্ধ করা হয় ন্যাটোর হুমকিনির্ভর সামরিক প্রতিরক্ষার ছত্রছায়ায়।
এই ছিল ন্যাটোর মূল উদ্দেশ্য ও মূল চরিত্র। যুদ্ধ না করে যুদ্ধ ঠেকিয়ে রাখবার জন্য দাঁড় করিয়ে রাখা একটি দৃশ্যমান যন্ত্র বিশেষ। তার No Action Talk only  হবারই কথা ছিল কিন্তু সেই No Action Talk only গত অস্তিত্ব ও উপস্থিতিই ছিল পশ্চিম ইউরোপকে সোভিয়েত সমরাভিযানের যুদ্ধ থেকে রক্ষা করবার মোক্ষম উপায়।
বিংশ শতাব্দীর শেষপ্রান্ত নাগাদ সোভিয়েত ইউনিয়ন বিধ্বস্ত হয়, চীনে কম্যুনিস্ট বিশ্ব বিজয়বাদীদেরও হয় তিরোধান। এমতাবস্থায় পশ্চিম ইউরোপকে কম্যুনিস্ট বিশ্বের বিজয়াভিযানমূলক ঘোষিত যুদ্ধ থেকে বাঁচাবার জন্য ন্যাটোর আর দরকার থাকে না। সোভিয়েত নেতৃত্বাধীন কম্যুনিস্ট বাহিনী পুঞ্জের পঙ্গপালকে ভয় দেখিয়ে থামিয়ে রাখা হস্তিবাহিনীস্বরূপ ন্যাটো এবার অর্থহীন অথচ প্রতুল ব্যয়বহুল এক শ্বেতহস্তিতে পরিণত হয়। একে নিয়ে কি করা? এই চিন্তা থেকেই ন্যাটোর মূল চরিত্র— No Action Talk only ভিত্তিক একটি কার্যকর ভয় দেখানো (deterrant) শক্তি থেকে বদলে অনেকটা No Action Talk only গত এমন একটি যুদ্ধবাজ সমিতিতে পরিণত করা হয় সম্প্রতি, যা তার মূল কার্যক্ষেত্র, উত্তর আটলান্টিক ছেড়ে বহু দূর মধ্য এশিয়ায় আফগানিস্তানে এসে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে লিবিয়ায়। তারপর না জানি কোথায় জড়াবে। হয়ত সিরিয়ায়, ইরানে। এসব জায়গাই উত্তর আটলান্টিক থেকে অনেক দূরে। কম্যুনিস্টদের এখানে গন্ধ বাতাস নেই। আর যেসব সন্ত্রাসী দমনে ন্যাটোর মত এক বিশাল সমরযন্ত্র অত বড় বড় অভিযান করছে-সেসব সন্ত্রাসীদের যে স্বাভাবিক সমরাভিযানে (Conventional War fare-এ) পরাস্ত করা কোনদিনই সম্ভব নয়।
তাদের গেরিলাযুদ্ধের চরিত্রের কারণেই তা সমরবিদমাত্রই জানেন। ন্যাটোর সমরবিদগণ ত অবশ্যই। ঐ সন্ত্রাসদমনমূলক যুদ্ধের সার্থক উপায় ও লুসিয়াল পাই-এর মত মার্কিন বিশেষজ্ঞরাই অনেক আগেই দিয়েছেন-তা যে সমরাভিযান নয় বরং মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ তাও সমরবিদদের জানা। আর যেইসব শকুন ছানার মত পুঁচকে পুঁচকে স্বৈরাচারী শাসকদের-গণতন্ত্রের স্বার্থে ধ্বংস করবার জন্য ন্যাটোর মত এমন বিশাল সমরযন্ত্রের ভয়ংকর বিশাল সমরাভিযান আজকের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সহায়তায় তাদের এক ছো মেরে তুলে নিয়ে আসা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক সরকারের পক্ষেই সম্ভব। তার জন্য অত বড় যুদ্ধায়োজনের দরকার হয় না- অত লক্ষ লক্ষ নিরীহ সাধারণ মানুষের যুদ্ধগত ভোগান্তিরও দরকার হয় না, তাহলে ন্যাটোর এতসব যুদ্ধগত তোড়জোড় কেন? ‘এই কেন’-এর সম্ভাব্য উত্তর বেশ কয়েকটিই হতে পারে। তার বিবরণে বিশ্লেষণে এখানে নাই বা গেলাম। কিন্তু ন্যাটোর এই বিশাল অপচয়মূলক ও ভয়ংকর এই অনেকটা অযথা অ্যাকশন প্রবণ হয়ে পড়ার সমাধান দরকার। সেই সমাধানের প্রথম পদক্ষেপ হবে-যেই পরিস্থিতিও যেই সাক্ষাত্ সমর (Conventional War) গত কারণে আদিতে ন্যাটোর প্রতিষ্ঠা তা যেহেতু আর নেই সেহেতু সাক্ষাত্ সমর (Conventional War) গত এক সামরিক বাহিনীপুঞ্জ হিসেবে ন্যাটোরও প্রয়োজন আর উপযোগ আজ ফুরিয়েছে তা অনুধাবন করা। এই অনুধাবনের পথ ধরে ন্যাটোকে হয় তুলে দিতে হয়- যেমন তার প্রতিপক্ষ Warsaw pact আজ আর ঐরূপ আরেক সাক্ষাত্ সমরমূলক সমরযন্ত্র রূপে উঠে গিয়েছে। নয় তাকে সন্ত্রাস প্রতিরোধমূলক অন্য ধরনের এক বাহিনীপুঞ্জে পরিবর্তন করে ফেলে বজায় রাখতে হয়। যদি এই দ্বিতীয়োল্লিখিত পথে অগ্রসর হতে হয়, তাহলে তার সাক্ষাত্ সমরমূলক বাহিনীসমূহকে তুলে দিয়ে (dismantle) করে। তার সোনার ছেলেদের যার যার বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে তার উচ্চতর সেনানায়কদের চাকরি বজায় রেখে তাদের অধীনে পুরো ন্যাটোকে নতুন করে একদিকে সন্ত্রাস প্রতিরোধমূলক মনস্তাত্বিক যুদ্ধের যন্ত্রে রূপান্তরিত করা দরকার। তার জন্য তার সাক্ষাত্ সমর-গত বাহিনীসমূহের বিকল্প হিসেবে দাঁড় করানো দরকার নতুন দুই শাখা (ক) OECD-এর মত একটি আর্থ কাঠামোগত উন্নয়ন সহায়ক প্রতিষ্ঠান পূর্বের কম্যুনিজমে পর্যবসিত হওয়ার প্রবণতাশীল মনোভাব বা উপনিবেশবাসী ইউরোপীয় শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের জনগণের বিদ্রোহ স্পৃহার মতই আজকের মৌলবাদে আকৃষ্ট হওয়ার প্রবণতাশীল তৃতীয় বিশ্বের জনগণের অস্থিরতার গোড়া যেই অসহনীয় দারিদ্র্যতার মূলোত্পাটনের জন্য। (খ) মৌলবাদ প্রবণ সমাজসমূহের সাংস্কৃতিক মূলবোধগত মনস্তত্বের অনুসন্ধান অনুধাবন ও বিশ্লেষণ পূর্ব তদানুযায়ী সেখানকার ব্যাপকতর জনসাধারণের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সন্ত্রাস ও সংঘাত বিরোধী সেইসব দিককে ব্যাপকভাবে প্রচারিত, প্রসারিত ও লালন করে নবাবিষ্কৃত মৌলবাদের ধারক বাহকদের সেভাবেই ব্যাপকতর জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে যেভাবে সন্ত্রাসবিরোধী প্রথম সার্থকযুদ্ধ-এর উদাহরণ, মালয়দ্বীপে  পঞ্চাশের দশকে কম্যুনিজমকে পরাভূত করবার যুদ্ধ করা হয়েছিল। এমআইটি-এর প্রফেসর লুসিয়ান পাই-দের মত রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও মনস্তত্ব বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাত্ সরেজমিনে পথনির্দেশনার মাধ্যমে মালয় উপদ্বীপের  ঐ শিক্ষণীয় কম্যুনিজম হারানো যুদ্ধে যেমন জয় হয়েছিল আজকেও  তেমন বিশেষজ্ঞদের পথনির্দেশনায় মৌলবাদী ও অন্যান্য মতাদর্শগত সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করা সম্ভব। চলমান ন্যাটোর সাক্ষাত্ সমরগত (Conventional War fare-এর) মশা মারতে কামান দাগা কৌশল তা মোটেই সম্ভব নয়।
n লেখক : রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ। ঢাকা ও হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব শিক্ষক, প্রফেসর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন