আসিফ আরসালান
বার্মা থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা মুসলমানদের ব্যাপারে আওয়ামী সরকারের কঠোর মনোভাব দেখে হতভম্ব হতে হয়। সমুদ্র এবং নদী পাড়ি দিয়ে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সীমান্তে প্রহরারত বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড ও কোস্ট গার্ডরা তাদেরকে ঢুকতে দেয় নি। বার্মার রাখাইন প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ সম্প্রদায় সংখ্যালঘিষ্ট রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর ভয়াবহ জুলুম চালিয়েছে। মুসলমানদের শত শত বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে পাওয়া খবর অনুযায়ী চার শতাধিক মুসলমানকে ঠান্ডা মাথায় বৌদ্ধরা খুন করেছে। অসংখ্য রোহিঙ্গা মুসলিম নারীকে ওরা ধরে নিয়ে গেছে এবং ধর্ষণ করেছে। পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে দুধের শিশুকে বাঁচাবার জন্য ওরা সেই ১০/১২ মাসের শিশু সন্তানকে আল্লাহর হাওলায় ছেড়ে দিয়েছে। ঐ শিশুটির বাপ মা নিজেদের জীবনের আশা সম্পূর্ণ ছেড়ে দিয়েছেন। তারা ভেবেছেন যে তারা তো বৌদ্ধদের হাত থেকে নিস্তার পাবেন না। কিন্তু ১০ মাসের এই মাসুম শিশু সন্তানকে তো বাঁচাতে হবে। তাই তারা ঐ শিশুটিকে একটি নৌকায় তুলে ভাসিয়ে দেন। সেই নৌকাটি নদী ও সাগর দিয়ে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের তীরে এসে ভিড়ে। এমন ভয়াবহ জুলুম এবং নির্যাতন চলছে সেখানে। এই অমানুষিক জুলুম এবং হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচার জন্য রোহিঙ্গা মুসলমানরা শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় চাচ্ছে বাংলাদেশে।
সম্পূর্ণ মানবিক কারণে তাদেরকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেছে মার্কিন সরকার। অনুরোধ করেছে বিশ্ববিখ্যাত মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংক্রান্ত কমিশন বা ইউ এন এইচ সি আর। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে মানবিক কারণে সাময়িকভাবে আশ্রয় দেয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার'। কিন্তু কারো আবেদনেই কর্নপাত করছে না আওয়ামী সরকার। তাদের এক কথা, কোনো রোহিঙ্গা মুসলমানকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না। কিন্তু এর মাঝেও সীমান্তের ফাঁক ফোকর গলিয়ে কয়েকজন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। এখন সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বাহিনীর সদস্যরা ঘরে ঘরে তল্লাশি শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই কয়েকজনকে পাওয়া গেছে এবং তাদেরকে সীমান্তের ওপারে ঠেলে দিয়েছে। আওয়ামী সরকারের অবস্থানের কারণে এখন রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবস্থা সেই ‘পানিতে কুমির ডাঙ্গায় বাঘের' মতো। ওরা রাখাইন প্রদেশে থাকলে বৌদ্ধদেরকে এই নির্যাতনে মদদ যোগায় বার্মার নিয়মিত বাহিনী অথবা সীমান্ত বাহিনী নাসাকা। সুতরাং পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে রাখাইন প্রদেশে থাকলে নির্ঘাত মৃত্যু এবং ইজ্জত-আব্রু লুণ্ঠন আর বাংলাদেশে এলে বর্ডার গার্ডের হাতে গ্রেফতার এবং বর্মী বাহিনীর হাতে প্রত্যার্পণ।
\ দুই \
অথচ আর যারাই করুক, বাংলাদেশের মত একটি দেশের এমন হৃদয়হীন কাজ করা উচিত নয়। কারণ আমরা সেই দেশ যাদের ১ কোটি মানুষ শরণার্থী হিসাবে ইন্ডিয়া গিয়েছিল। তখন আমাদের লোকসংখ্যা ছিল ৭ কোটি। অর্থাৎ একটি দেশের মোট জনসংখ্যার ৭ ভাগের ১ ভাগই শরণার্থী হিসাবে চলে গিয়েছিল ভারতে। আমরা সেই সে জাতি, শরণার্থী হিসাবে যাদের রয়েছে বিরাট ঐতিহ্য, তারা কি ভাবে বর্মী শরণার্থীকে আটকে দেয়? সেদিন বাংলাদেশের এই ১ কোটি মানুষ নিশ্চয়ই আনন্দিত চিত্তে ভারতে যায় নি। তারা সকলে বাধ্য হয়েছিল বলেই ভারতে গিয়েছিল। সেদিন যদি ভারত আমাদের গ্রহণ না করতো? সেদিন যদি ভারত আমাদের পুশ ব্যাক করতো? তাহলে অবস্থা কি দাঁড়াত? আমরা তো সেক্ষেত্রে বাঘের খাঁচার ভেতর ঢুকতে বাধ্য হতাম।
অভিন্ন সীমান্তের অধিকারী রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে আপদ বিপদের দিনে এই ধরনের শরণার্থী চলাচল ঘটেই থাকে। সোভিয়েত হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বীর আফগানরা যখন হাতিয়ার তুলে নেয় এবং হানাদারদের বিরুদ্ধে যখন গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে তখন সোভিয়েত বাহিনীর তাড়া খেয়ে লাখে লাখে আফগান জনগণ মোহাজের (শরণার্থী) হিসেবে পাকিস্তানে প্রবেশ করে। তখন আফগানিস্তানের জনসংখ্যা ছিল মাত্র আড়াই কোটি। এই আড়াই কোটি জনগোষ্ঠির মধ্যে মোহাজেরদের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এসে দাঁড়ায় ৩০ লাখ। অর্থাৎ এখানেও সমগ্র জনগোষ্ঠীর ৭ ভাগের ১ ভাগ মোহাজের হিসেবে পাকিস্তানে আশ্রয় গ্রহণ করে। ১০ বছর পর আফগান যুদ্ধ শেষ হয় এবং সোভিয়েত হানাদাররা আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য হয়। আফগানিস্তান মুক্ত হওয়ার পর মোহাজেররা স্বদেশে অর্থাৎ আফগানিস্তানে ফিরে যায়। কিন্তু এরমধ্যে অর্থাৎ বিগত ১০ বছরে মোহাজেরদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পাকিস্তানে সেট্ল্ করে, অর্থাৎ স্থায়ীভাবে বসত গাড়ে। কেউ কেউ বলেন যে, ৩০ লাখ মোহাজেরের মধ্যে অন্তত ১০ লাখ মোহাজের পাকিস্তানে সেট্ল্ করে যান। আবার অনেকে বলেন যে, এটি ১০ লাখ নয়, ৫ লাখ। তবে সঠিক পরিসংখ্যান যেটিই হোক না কেন, রাজনৈতিক কারণে বা জাতিগত বা ধর্মীয় কারণে দাঙ্গা হলে আন্তঃরাষ্ট্রীয় মাইগ্রেশন হয়। আর এই শরণার্থীদের দেখভালের জন্যই রয়েছে ইউ এন এইচ সি আরের মতো জাতিসংঘ সংস্থা।
একই সাথে আমরা এ কথাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই যে উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদেরকে গ্রহণ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শুধুমাত্র বাংলাদেশের ওপর চাপ দিচ্ছে। এটি একদেশদর্শী নীতি। বর্মী সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদ ছাড়া রাখাইন বৌদ্ধরা রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত বা সম্প্রদায়গত নিপীড়ন চালাতে পারত না। বার্মায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনও সমস্ত ক্ষমতা রয়েছে পরোক্ষভাবে সামরিক জান্তার হাতে। তারা যদি ইচ্ছা করতো এবং সিরিয়াস হতো তাহলে মুহূর্তের মধ্যেই তারা রাখাইন বৌদ্ধদের এই বর্বরতা বন্ধ করতে পারতো। ৬ দিন ধরে এই হত্যাকান্ড এবং জুলুম চলতে পারতো না। ১৯৭৮ সালে সামরিক জান্তা যখন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করে তারপরেও রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নেমে এসেছিল এই ধরনের খুন খারাবি এবং বর্বরতা। এবার যেটা ঘটেছে সেটি অতীতের পুনরাবৃত্তি। গণতন্ত্রের মানসকন্যা বলে পশ্চিমারা বিশ্বব্যাপী যার পাবলিসিটি দিয়েছে সেই অং সান সুকি এখন ইউরোপ সফরে রয়েছেন। তিনি সেখানে নাকি আরো ১৭ দিন থাকবেন। ততোদিন রোহিঙ্গা মুসলমান নির্মূল অভিযান সমাপ্ত হবে। মিসেস সুকি যদি যথার্থ নেত্রী হয়ে থাকেন তাহলে তাঁর উচিত ছিল দ্রুত স্বদেশে ফিরে আসা এবং দাঙ্গাবাজদের দমন করা। তাঁর বিদেশ সফর যদি এতই জরুরি হয়ে থাকে তাহলে দেশে ফিরে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে, সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান করে তিনি ইউরোপে ফিরে যেতে পারতেন। বিকল্প হিসাবে ইউরোপের মাটিতে বসেই কঠোর ভাষায় তিনি দাঙ্গাবাজদের হুঁশিয়ার করে দিতে পারতেন। কঠোর হাতে দাঙ্গাবাজদের দমন করার জন্য বিদেশের মাটিতে বসেই তিনি সামরিক নেতৃবৃন্দকে বলতে পারতেন। কিন্তু এসব কিছুই তিনি করেননি।
অন্যদিকে পশ্চিমারাও দাঙ্গাবাজদের কন্ট্রোল করার জন্য সামরিক জান্তার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারতো। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে অতীতে যে পরিস্থিতিই থেকে থাকুক, এখন বার্মার ওপর পশ্চিমাদের প্রভাবও বিপুল। এই মিয়ানমার বা বার্মা বিগত দুই আড়াই দশক ধরে গণচীনের একচেটিয়া প্রভাবে ছিল। দীর্ঘকাল সামরিক শাসন জারি থাকার কারণে পশ্চিমারা বার্মার ওপর নানান জাতের অবরোধসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপ করেছিল। তারাই অং সান সুকিকে লাইম লাইটে এনেছে। ইতিমধ্যেই তারা বার্মায় ভালভাবে ঢুকে পড়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন বার্মা সফর করেছেন। সফর করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীও। পত্র-পত্রিকায় লেখা হচ্ছে যে, মিয়ানমারের ওপর চীনের প্রভাব বেশ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। সেই স্থান দখল করেছে আমেরিকা এবং ভারত। ভৌগোলিক সংলগ্নতার কারণে কালক্রমে মিয়ানমারের ওপর ভারতের প্রভাব হবে প্রচন্ড।
\ তিন \
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আগমন সম্পর্কে ভারতের প্রসঙ্গ অবধারিতভাবে এসে যায়। ৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ থেকে ১ কোটি শরণার্থী ভারতে প্রবেশ করেছিল। ভারতও তাদেরকে গ্রহণ করেছিল। ভারতের মনে যাই থাকুক না কেন, মুখে তারা বিশ্বব্যাপী প্রচার করেছিল যে, মানবিক কারণেই তারা বাংলাদেশের এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েছে।
৪০ বছর পার হলেও মানবিকতার সংজ্ঞা বদলায়নি। মানুষ আশা করে যে, ভারত এখানে যুগপৎ দু'টি ভূমিকা গ্রহণ করবে। একটি হলো জাতিসংঘ আমেরিকা প্রভৃতি দেশের সাথে মিলে একজোট হয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশকে শক্তভাবে অনুরোধ করবে। দ্বিতীয়ত, বর্মী সামরিক জান্তা, তাদের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী নাসাকা এবং রাখাইন বৌদ্ধরা যে জাতিগত নির্মূল (এথনিক ক্লিনজিং) অভিযান শুরু করেছে সেটি চিরতরে বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ। এ ব্যাপারে আমেরিকার সাথে মিলে ভারত সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। গত সপ্তাহখানেক ধরে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর যে কি বর্বর নির্যাতন চালানো হচ্ছে সেটি কম-বেশি প্রকাশিত হয়েছে। আমি তাই সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছি না। একটি বিষয় উল্লেখ করে আজকের আলোচনা শেষ করব। সেটি হলো, মিয়ানমারের অনেকগুলো প্রদেশের মধ্যে একটি হলো রাখাইন। প্রদেশটির পূর্ব নাম ছিল আরাকান। সমগ্র বার্মায় যে রকম অনেক নৃতাত্ত্বিক জাতি রয়েছে তেমনি আরাকান প্রদেশেও রয়েছে একাধিক নৃতাত্ত্বিক জাতি। তাদের মধ্যে প্রধান দু'টি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী হলো রাখাইন এবং রোহিঙ্গা। রাখাইনদের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ হলো বৌদ্ধ, আর রোহিঙ্গাদের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ হলো মুসলমান। রাখাইন প্রদেশের জনসংখ্যা হলো ৩৮ লাখ ৩৬ হাজার। এদের ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৯ লাখ ৬০ হাজার, রোহিঙ্গা মুসলমান। রাখাইন প্রদেশটি বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন। এই ৯ লাখ ৬০ হাজার মানুষ আজ রাষ্ট্রহীন বা স্টেটলেস। বর্মীরা মনে করে, ওরা বার্মিজ নয়, ওরা হলো বাঙালি। তাই ওরা মাঝে মাঝে ওদেরকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়। আবার বাংলাদেশ মনে করে, ওরা বর্মী। তাই ওদেরকে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশে বাধা দেয়। এমন একটি অসহায় এবং ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নিমজ্জমান এই হতভাগ্য রোহিঙ্গা মুসলমানরা। অথচ এদের জন্য আমেরিকা, রাশিয়া বা ইংল্যান্ড কিছুই করেনি। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রাষ্ট্রহীন ইহুদীদের জন্য পশ্চিমারা এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনীদের বুকের ওপর ইসরাইল নামক একটি রাষ্ট্র বানিয়ে দিয়েছে। তাদের সংখ্যা তখন কিন্তু ৫ লাখেরও কম ছিল। অথচ প্রায় ১০ লাখ মানুষ আজ রাষ্ট্রহীন হিসাবে ভাসমান। সম্ভবত তাদের একমাত্র অপরাধ হলো, তারা মুসলমান। আমেরিকা, রাশিয়া বা ইংল্যান্ড এই সব মুসলমানের জন্য কিছু না করতে পারে, কিন্তু বিশ্ব মুসলিমের সংগঠন ওআইসির তো এ ব্যাপারে কিছু করণীয় আছে। ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ হিসেবে বাংলাদেশেরও এ ব্যাপারে অবশ্যই কিছু করণীয় আছে। কিন্তু ওআইসি বা বাংলাদেশে, কেউই তাদের জন্য কিন্তু করছে না।
এক মাত্র আল্লাহ্ ছাড়া এই হতভাগ্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের আর কেউ নেই।
Email: asifarsalan15@gmail.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন